My Sports App Download
500 MB Free on Subscription


নিউজিল্যান্ডের কঠিন কন্ডিশন জয় করতে মুখিয়ে তামিমরা

নিউজিল্যান্ড সফরে তিন ফরম্যাটের কোনটিতেই এখনো জয়ের মুখ দেখেনি বাংলাদেশ দল। নিরপেক্ষ ভেন্যু কিংবা নিজেদের মাঠে একাধিক জয় থাকলেও কিউই কন্ডিশনে শুধুই ব্যর্থতা। এবার নিউজিল্যান্ড কন্ডিশন জয় করে সেই আক্ষেপ দূর করে জয় পেতে মরিয়া বাংলাদেশ। তবে চলতি সফরে প্রথম জয়ের আশায় আছে তামিম ইকবালের নেতৃত্বাধীন দলটি। আগেরবারের চেয়ে এবারের দলটির পেস আক্রমণ যথেস্ট ভালো। তাইতো আগে যা পারেননিম সেটি করতেই আশাবাদি হয়ে উঠছেন তামিম।

রুবেল-মোস্তাফিজ-তাসকিনদের নিয়ে দলে বিশেষজ্ঞ সাত পেসার। পাশাপাশি পার্ট টাইমার হিসেবে আছেন সৌম্য সরকার। এবারকার দলটির পেস আক্রমণই আশা দেখাচ্ছে তামিমকে, ‘সত্যি কথা আমাদের এবার যেটা হলো যে, আমাদের পেস বোলিং আক্রমণ আগে যতবার এসেছি তার চেয়ে ভালো অবস্থায় আছে। তারা ভালো করবে বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। দ্বিতীয়তো বিদেশ সফরগুলোতে নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখা জরুরি। আমার কাছে মনে হয় যে দলে থাকা ক্রিকেটাররা বিশ্বাস করেন এখানে জেতা সম্ভব। আশা করছি প্রথম ম্যাচ থেকেই আমরা আমাদের লক্ষ্য পূরণ করতে পারবো।’

বোলার প্রশংসা করতে গিয়ে তামিম আরও বলেছেন, ‘আমি আমাদের নতুন পেসারদের নিয়ে বেশ আশাবাদী। তারা কঠোর পরিশ্রম করছে। নেটে বলেন, প্রস্তুতি ম্যাচ বলে ওরা ভালো বল করেছে। সুতরাং আমি খুব আশাবাদি। ওরা যদি ভালো করে, তবে আমাদের জন্য ম্যাচ জেতা অনেক সহজ হয়ে যাবে।’নিউজিল্যান্ড কন্ডিশনে নতুন বলে ব্যাটিং করা সব সময়ই কঠিন। এই কঠিন কন্ডিশন জয় করার তরিকা অবশ্য জানালেন না তামিম, ‘নিউজিল্যান্ড কন্ডিশনে নরমালি নতুন বলে প্রথম ১০-১৫ ওভার ইজ দ্যা মোস্ট ডিফিকাল্ট টাইম। তাই এই সময়ে উইকেট পড়ে যাওয়া বা স্ট্রাগল করা স্বাভাবিক। কারণ আমরা যে ধরনের উইকেটে খেলতে অভ্যস্ত এখানে বল বেশি সুইং করে। তাই নতুন বল খুব চ্যালেঞ্জিং। এটা শুধু আমাদের জন্য নয়, এটা পৃথিবীর যে সকল দল এখানে আসলে এই সমস্যায় পরে।’

তামিম অবশ্য গত কয়দিনের প্রস্তুতিতে যথেস্ট বলে মনে করছেন, ‘গত ৬-৭দিন আমরা নিজেদেরকে যেভাবে প্রস্তুত করেছি, আমরা চেষ্টা করছি যে আমরা সবকিছু যেন ব্যবহার করতে পারি। এতটুক বলতে পারি যে আমরা প্রথম ম্যাচের আগে পুরোপুরিভাবে প্রস্তুত। এখন পর্যন্ত প্রস্তুতি নিয়ে আমরা পুরোপুরি সন্তুষ্ট।’নিউজিল্যান্ড ভালো করার টোটকাও দিলেন তামিম, ‘আমাদের ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলতে হবে, আমাদের আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলতে হবে। আক্রমণাত্মক ক্রিকেট বলতে প্রতি ১০ ওভারে ১০০ রান করতে হবে সেটা বুঝাইনি বা প্রথম ৫ ওভারে ৫ উইকেট নিয়ে নিতে হবে। আমাদের সবকিছুতে ইতিবাচক থাকতে হবে, যাই করিনা কেন। যেহেতু আমাদের অতীত রেকর্ড ভালোনা এখানে সেহেতু ভিন্নভাবে কাজ করতে হবে।’

লম্বা সময় নিউজিল্যান্ডের মাটিতে থাকার ফলে সুবিধা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তামিমের উত্তর, ‘অবশ্যই এর চেয়ে ভালো কিছু হতে পারত না। কারণ ১৪ দিন আমরা কোয়ারেন্টাইন করেছি। এরপর এক সপ্তাহর মতো অনুশীলন করতে পেরেছি। বিসিবি আমাদের প্রস্তুতির জন্য দারুন সুযোগ করে দিয়েছে। এই জন্যইতো বললাম, প্রস্তুতি নিয়ে আমাদের কোন ঘাটতি নেই।’২০২৩ বিশ্বকাপ খেলতে হলে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকাটা জরুরি। বাংলাদেশ অবশ্য তিন ম্যাচের তিনটিতে জিতে পয়েন্ট টেবিলের দুই নম্বরে আছে। তামিম অবশ্য বিশ্বকাপ বাছাই নিয়ে ভাবছেন না। তার ভাবনাতে বিশ্বকাপে ভালো করা, ‘২০২৩ বিশ্বকাপের বাছাইয়ের জন্য প্রতিটি ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ। সামনে দক্ষিণ আফ্রিকায় একটা সিরিজ আছে। সাধারণত এই দুইটা দেশে আমাদের ফলাফল খুব একটা ভালো না। এখানে ভালো করতে পারলে বিশ্বকাপের আগে আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়বে।’