My Sports App Download
500 MB Free on Subscription


তামিম-মুশফিকের পরামর্শেই বদলে গেছেন মিরাজ

বয়সভিত্তিক দলে ব্যাটিং অলরাউন্ডার হিসেবে খেললেও জাতীয় দলে এসে ব্যাটিংয়ে খুব একটা পারফরম্যান্স দেখাতে পারেননি মেহেদী হাসান মিরাজ। আজ সেই মিরাজের দুর্দান্ত ব্যাটিং পারফরমে ৪৩০ রানের বড় সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ দল। বৃহস্পতিবার ওয়ারিক্যান-কর্নওয়ালদের অসহায় বানিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সেঞ্চুরির খড়া কাটান মিরাজ। এমন ইনিংস খেলার পথে দলের সিনিয়র দুই ক্রিকেটার তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিমের ভূমিকা রয়েছে বলে জানিয়েছেন তরুণ এই অলরাউন্ডার।

এদিন ওয়েস্ট ইন্ডিজ বোলিংয়ের বিপক্ষে কাভার ড্রাইভ, লেট কাট, সুইপ, রিভার্স সুইপ কোন কিছুই বাদ ছিলো না মিরাজের ব্যাটিংয়ে। কখনো কখনো ক্রিজ ছেড়ে এসেও খেলেছেন। অথচ এমন মিরাজকে আগে কখনোই দেখা যায়নি। ঠান্ডা মাথায় এমন সাহসী ব্যাটিংয়ের পেছনে অবশ্য সিনিয়র দুই ক্রিকেটারের অবদানের কথা জানালেন মিরাজ।

বৃহস্পতিবার ম্যাচ শেষে মিরাজ বলেছেন, ‘আমি সেদিন নেটে ব্যাটিং করছিলাম, তখন তামিম ভাই আমাকে ২-১টা পরামর্শ দিচ্ছিলেন। এর আগে মুশফিক ভাই অনেক পরামর্শ দিয়েছিলেন। উনি (মুশফিক) যখন অনুশীলনে একা একা আসতেন, আমাকে নিয়ে আসতেন। উনিও ব্যাটিং করতেন, আমাকেও ব্যাটিং করাতেন। শেষ এক সপ্তাহ আগেও আমি তার (মুশফিক) সাথে ব্যাটিং নিয়ে অনেক কাজ করেছি। এক সপ্তাহ আগে মুশফিক ভাইয়ের সঙ্গে যে ট্রেনিং করেছি, তখন মুশফিক ভাই বলেছিলেন সোজা খেলতে হবে এবং বাইরের বলে যেন খোঁচা না দেই, এটা যেন লিভ করে দেই। পাশাপাশি সবসময় যেন মনোযোগ ধরে রাখি এবং বল টু বল খেলার চেষ্টা।’

শুধু তাই নয় ফিটনেস নিয়েও মুশফিকের সঙ্গে কাজ করেছেন মিরাজ, ‘আমাদের জুনিয়রদের অভিজ্ঞদের দেখে শেখা উচিত। আমি নিজেও শিখি। ভালো খেলার জন্য তারা যে কষ্ট করেছে আমি তাদের দেখে পরিশ্রম করার আত্মবিশ্বাসটা পাই। আমি মুশফিক ভাইয়ের সঙ্গে ব্যাটিং, ফিটনেস নিয়ে কাজ করেছি। তার কাছ থেকে অনেক টিপস নিচ্ছি।’তামিমের পরামর্শ প্রসঙ্গে মিরাজ বলেছেন, ‘জোরে বলগুলো কীভাবে খেলতে হবে সে ব্যাপারে তামিম ভাই আমাকে পরামর্শ দিয়েছেন। শরীরের দিকে আসা বলগুলো সোজা খেলার জন্য। আজকে এটা এপ্লাই করেছি। গ্যাব্রিয়েল যখন আমাকে শরীর বরাবল বল করেছে, যতটা সম্ভব সোজা রাখতে পেরেছি এবং লিভ করে দিয়েছি। দুজনের পরামর্শই অনেক কাজে লেগেছে।’

লিটন আউট হওয়ার পর ক্রিজে নামেন মিরাজ। ব্যাটিংয়ে নেমে কিছুটা নার্ভাস ছিলেন এই তরুণ। তবে সাকিবের পরামর্শে সেই নার্ভাসনেস কাটিয়ে উঠে পেয়েছেন ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। সাকিবের ভূমিকার কথা জানাতে গিয়ে মিরাজ বলেছেন, ‘আমি যখন উইকেটে এসেছি, তখন একটু নার্ভাস ছিলাম। সাকিব ভাইয়ের সাথে আমি কথা বলছিলাম যে, ভাই কী করলে ভালো হয়। সাকিব ভাই নিজের স্বাভাবিক ক্রিকেট খেলতে বলেছেন। মাঝখানে আমি চাপমুক্ত হতে একটা স্লগ সুইপ চেষ্টা করেছিলাম, সাকিব ভাই আমাকে বলেন যে, এখানে স্লগ সুইপের চেয়ে প্যাডল সুইপ করলে ভালো।’মেহেদী হাসান আরও যোগ করে বলেছেন, ‘ক্রিজে নামার আগে মুশফিক ভাই বলেছিলেন এ উইকেটে অনেক সুযোগ আছে, ভালো কিছু যেমন ৭০ রানে নটআউট থাকতে পারবি- এ জিনিসগুলো যখন ড্রেসিংরুমে সিনিয়র প্লেয়াররা যখন জুনিয়র প্লেয়ারদের বলে তখন কিন্তু আমাদের বুক অনেক বড় হয়ে যায় এবং ভালো করতে নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করা যায়।’