My Sports App Download
500 MB Free on Subscription


এবার সৌম্যর ব্যাটে জয়ের আনন্দে চট্টগ্রাম

পুরো টুর্নামেন্টে অসাধারণ কাটানো গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম আরও একবার জয়ের আনন্দে মেতেছে। বৃহস্পতিবার বরিশালের বিপক্ষে দলের গুরুত্বপূর্ণ দুই ক্রিকেটার লিটন দাস ও মোস্তাফিজুর রহমাকে বিশ্রাম দিয়েও জয় পেতে সমস্যা হয়নি পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা চট্টগ্রামকে। এদিন তামিমের বরিশালকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে মিঠুনের চট্টগ্রাম। ১৫০ রানের জবাবে খেলতে নেমে সৌম্যর ব্যাটিংয়ে চট্টগ্রাম ৩ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায়।

১৫০ রানের জবারে খেলতে নেমে লিটনের বদলে উপরে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পাওয়া সৈকত আলী, সুযোগটা ভালো ভাবেই কাজে লাগিয়েছেন। ব্যক্তিগত ৩১ রানে জীবন পাওয়া সৈকত আউট হয়েছেন ৩৯ রানে। ততক্ষণে অবশ্য সৈকত-সৌম্যর ৭৯ রানের জুটি হয়ে গেছে। এদিকে আফিফের কল্যানে ১০ রানে জীবন পেয়ে, সুযোগটা কাজে লাগিয়েছেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। খেলেছেন ৩৭ বলে ৬৭ রানের বিস্ফোরক এক ইনিংস। ৭ চার ও ৩ ছক্কায় সৌম্য টুর্নামেন্টে নিজের প্রথম হাফসেঞ্চুরির ইনিংসটি সাজিয়েছেন। সৌম্যর এই ইনিংসের কল্যানে জয়ের দ্রাড়প্রান্তেই ছিল চট্টগ্রাম। অধিনায়ক মিঠুন ৩ রানে আউট হলেও তিন নম্বরে ব্যাটিং নামা মাহমুদুল হাসান ও মোসাদ্দেকের অপরাজিত ২৩ রানের জুটিতে ৮ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটের জয় পায় চট্টগ্রাম। মাহমুদুল ২৭ বলে ৩ চারে ৩১ রানে অপরাজিত থাকেন। এছাড়া মোসাদ্দেক ১১ বলে ১২ রানে অপরাজিত থাকেন।

বরিশালের বোলারদের মধ্যে সুমন খান ৩০ রান খরচায় তুলে নেন দুটি উইকেট। এছাড়া মেহেদী হাসান ৩১ রানে একটি উইকেট নেন।টস হেরে আগে ব্যাটিং করে তামিম ইকবালের ফরচুন বরিশাল। গাজী গ্রুপর চট্টগ্রামের বোলারদের চাপের মুখে স্কোরবোর্ড খুব বড় করতে পারেনি বরিশাল। অথচ তামিম ও সাইফ মিলে ওপেনিং জুটি দারুন শুরু করেছিল। ১১ ওভারে এই জুটি ৮৭ রান করলেও বাকি ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় ১৪৯ রানের বেশি করতে পারেনি বরিশাল।দলীয় ৮৭ রানে সাইফ আউট হন। ৩৩ বলে ৬ চার ও ২ ছয়ে সাইফ নিজের ৪৬ রানের ইনিংসটি সাজিয়েছেন। সাইফের বিদায়ের পর তামিমও দ্রুত ফিরে যান। ৩৯ বলে ৫ চারে তামিম আউট হন ৪৩ রানে। এরপর আগের ম্যাচে দ্রুততম সেঞ্চুরি মালিক বনে যাওয়া পারভেজও নিজের ইনিংসটাকে বড় করতে পারেননি। আউট হয়েছেন ১০ বলে ১৪ রান করে। তৌহিদ হৃদয়-ইরফান শুক্কুর-মেহেদী হাসানরা ব্যর্থ হলেও বড় স্কোর গড়ার স্বপ্ন ফিকে হয়ে যায় বরিশালের। ধারাবাহিক ভাবে ব্যর্থ হওয়া আফিফের ১৬ বলে ২৮ রানের ইনিংসের কল্যানে বরিশাল নির্ধারিত ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৯ রান করতে সমর্থ হন।চট্টগ্রামের বোলারদের মধ্যে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন সঞ্জিত সাহা, জিয়াউর রহমান ও মোসাদ্দেক হোসেন।