যুব বিশ্বকাপজয়ী দলের অধিনায়ক আকবর আলী। ঠান্ডা মাথার খেলোয়াড় হিসেবে ইতিমধ্যেই নাম কুড়িয়েছেন। যদিও বড়দের সঙ্গে তেমন কিছু করে দেখাতে পারছিলেন না। অবশেষে শুক্রবার জেগে উঠেছে আকবরের ব্যাট। এই ব্যাট হাতে ঢাকার জার্সিতে রাজশাহীর বোলারদের শাসন করলেন তিনি। খেলেছেন টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ার সেরা ৪৫ রানের ইনিংস।
গত ফেব্রুয়ারিতে বিকেএসপির হয়ে কুড়ি ওভারের ক্রিকেট অভিষেক আকবরের। বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ খেলার আগে ওই একটি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞা ছিল বিশ্বকাপজয়ী এই অধিনায়কের। সেই অভিজ্ঞা নিয়ে খেলা আকবর উদ্বোধনী দিনে ভালো কিছু করার ইঙ্গিত দিচ্ছেলেন। রাজশাহীর বিপক্ষে প্রথম লেগে খেলেছিলেন ৩৪ রানের ইনিংস। পরের ইনিংসগুলোতে আকবর রান করতে পারেননি। শুধু তাই নয়, ব্যাটসম্যান আকবরকে আত্মবিশ্বাসহীন দেখা গেছে।শুক্রবার সেটি কাটিয়ে উঠলেন বেশ ভালো ভাবেই। ২ ছক্কা ও ৩ চারে সাজিয়েছেন নিজের ক্যারিয়ার সেরা ৪৫ রানের ইনিংসটি। ৬ নম্বরে নেমে এমন ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ঢাকার স্কোরবোর্ড সমৃদ্ধ হয়।শুক্রবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে আকবের ঝড়ো ইনিংসে ঢাকা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭৫ রান সংগ্রহ করে। যদিও শুরুটা একদমই ভালো ছিল না মুশফিকের দলের। আজও দলের টপ অর্ডারে পরীক্ষা-নিরিক্ষা চালিয়েছে ঢাকার ম্যানেজমেন্ট। ওপেনিং নাঈম শেখের সঙ্গে নামানো হয় নাঈম হাসানকে। দুইজনই হয়েছেন ব্যর্থ।
প্রথম ওভারে ব্যক্তিগত ১ রানে মেহেদী হাসানের শিকার হোন। নাঈম ১৯ বল খেললেও রান করেছেন মাত্র ৯। এরপর অধিনায়ক মুশফিক দলের ইনিংস গড়তে ছোট ছোট জুটি গড়েন। দলীয় ৬৪ রানে মুশফিকের আউটের পর বড় স্কোর হওয়া নিয়ে শঙ্কা জন্মেছিল ঢাকার। কিন্তু ইয়াসির আলী ও আকবর আলীর চওড়া ব্যাটে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রহ করে ঢাকা। ৩৯ বলে ৯ চার ও ১ ছক্কায় ইয়াসির আলী ৬৭ রানের ইনিংস খেলেছেন। অন্যদিকে আকবর আলী ২৩ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৪৫ রানে অপরাজিত ছিলেন। তাদের এমন ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৫ উইকেট হারিয়ে ঢাকা ১৭৫ রান সংগ্রহ করে।রাজশাহীর বোলারদের মধ্যে ৩৮ রানে দুই উইকেট নিয়ে সবচেয়ে সফল বোলার মুকিদুল। এছাড়া আরাফাত সানি, মেহেদী হাসান ও ফরহাদ রেজা একটি করে উইকেট নিয়েছেন।