My Sports App Download
500 MB Free on Subscription


ভক্তদের মুখে ফের হাসি দেখতে চান রাফায়েল নাদাল এবং নোভাক জ়োকোভিচ

অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের জন্য সে দেশে পৌঁছনোর পরে নিভৃতবাস পর্ব কাটিয়ে পুরোদমে অনুশীলন শুরু করে দিয়েছেন রাফায়েল নাদাল এবং নোভাক জ়োকোভিচ। বছরের প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম শুরু আগে নিভৃতবাস পর্ব নিয়ে বিতর্ক কম হয়নি। তবে সে সব নিয়ে কথা না বলে এখন টেনিসে মগ্ন থাকতে চান বিশ্বের দু’নম্বর নাদাল। বিশ্বের এক নম্বর নোভাক আবার এত দিন পরে স্টেডিয়ামে দর্শকদের সামনে খেলার জন্য মুখিয়ে আছেন।

৩৪ বছর বয়সি নাদাল গত বছর ফরাসি ওপেনে ২০ নম্বর গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতেছেন। অ্যাডিলেডে ১৪ দিনের নিভৃতবাস কাটিয়ে শুক্রবার প্রদর্শনী ম্যাচ খেলার পরে মেলবোর্নে চলে এসেছেন। রবিবার তিনি বলেছেন, ‘‘আমরা এখানে আসার পরে নিভৃতবাস কাটাতে হয়েছে। তবে সে সব এখন মিটে গিয়েছে। এ বার টেনিস নিয়ে কথা বলার সময়। এ জন্যই আমরা এখানে সবাই এসেছি। টেনিস খেলতে। গোটা বিশ্বের এবং অস্ট্রেলিয়ার টেনিস ভক্তদের সামনে একটা দারুণ প্রতিযোগিতা উপহার দিতে হবে। অনেকেই যাঁরা বাড়িতে এই সময়টা সমস্যার মধ্যে আছেন, চেষ্টা করব তাঁদের আনন্দ দিতে।’’

নাদাল মেলবোর্নে নতুন মরসুমে প্রথম প্রতিযোগিতায় নামছেন এটিপি কাপে স্পেনের হয়ে। যা শুরু হচ্ছে মঙ্গলবার। গত বছর নাদালের স্পেন দল ফাইনালে জ়োকোভিচের সার্বিয়ার বিরুদ্ধে হেরে গিয়েছিল। এ বার সেই হার ভুলে ট্রফি জেতাই লক্ষ্য তাঁর দলের। তার পরেই অবশ্য শুরু হচ্ছে ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে অস্ট্রেলীয় ওপেন। ‘‘অবশ্যই গত বারের চেয়ে এ বার পরিস্থিতি অন্য রকম। অনেকেই জানেন গ্র্যান্ড স্ল্যাম শুরু হওয়ার সপ্তাহ খানেক আগে আমি প্রতিযোগিতায় খেলি না। তাই এ বার একটু অদ্ভুত আর নতুন রকম লাগছে,’’ বলেছেন নাদাল। তিনি আরও যোগ করেছেন, ‘‘তবে আমরা সবাই প্রস্তুত। সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব আমরা। সবাই কোর্টে নামতে মুখিয়ে রয়েছে।’’ মঙ্গলবার নাদাল এটিপি কাপে রড লেভার এরিনায় মুখোমুখি হবেন অস্ট্রেলিয়ার অ্যালেক্স ডি মিনরের বিরুদ্ধে সিঙ্গলস ম্যাচে।

অন্য দিকে, জ়োকোভিচেরও মেলবোর্নে স্টেডিয়ামে দর্শকদের সামনে নামার তর সইছে না। গত মরসুমে করোনার জন্য গ্র্যান্ড স্ল্যামে প্রায় দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে খেলতে হয়েছে জ়োকোভিচকে। এ বার প্রতি দিন অস্ট্রেলীয় ওপেনে ২৫ থেকে ৩০ হাজার দর্শককে স্টেডিয়ামে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। যার কিছুটা আন্দাজ জ়োকোভিচ পেয়েছেন অ্যাডিলেডে শুক্রবারের প্রদর্শনী ম্যাচে। যেখানে ৪ হাজার দর্শক ছিলেন। ‘‘১২ মাস পরে স্টেডিয়ামে দর্শকদের সামনে খেলতে নেমে শিহরণ অনুভব করছিলাম। ১৫ বছরের বেশি হয়ে গেল পেশাদার টেনিস খেলছি। দর্শকদের সামনে খেলার ব্যাপরটা সব চেয়ে বেশি প্রেরণা নেয় আমাকে,’’ বলেছেন জ়োকোভিচ। প্রদর্শনী ম্যাচে নামার আগে হাতে চোটের সমস্যা ছিল তাঁর। এটিপি কাপে নামার আগে সেটা নিয়ে চিন্তার কিছু নেই বলে ভক্তদের আশ্বস্ত করেছেন সার্বিয়ার তারকা।

মেলবোর্নে খেলোয়াড়দের নিভৃতবাস পর্ব শিথিল করার পরমর্শ দিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন জ়োকোভিচ। এখন অবশ্য সে সব ভুলে অস্ট্রেলিয়ায় খেলতে পারায় তিনি খুশি। ‘‘আমি কৃতজ্ঞ। যে খেলাটা আমরা ভালবাসি সেটা এখানে খেলতে পারা এবং তার জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার সুযোগ পেয়েছি আমাদের মধ্যে অনেকেই। তাই আমরা সবাই কোর্টে নামার আগে উত্তেজিত।’’

৩৩ বছর বয়সি জ়োকোভিচের ১৭টি গ্র্যান্ড স্ল্যামের আটটিই জিতেছেন মেলবোর্নে পার্কে। তাই প্রত্যেক বছর এই প্রতিযোগিতায় খেলতে আসাটা তাঁর কাছে ঘরে ফেরার মতো। ‘‘আমার কাছে মেলবোর্ন পার্ক ঘরবাড়ির মতো। বিশেষ করে রড লেভার এরিনা। আমার কাছে যা সফলতম টেনিস কোর্ট। প্রত্যেক বছর যখন এই কোর্টে নামি আগের চেয়েও বেশি ভাল লাগে। যত বেশি এই কোর্টে জিতি তত বেশি আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠি,’’ বলেছেন জ়োকোভিচ।