পাল্লেকেলেতে বল হাতে নেওয়ার আগে তাসকিন আহমেদ সর্বশেষ টেস্ট খেলছিলেন তিন বছর আগে। তখনই টেস্টে ছিলেন নতুন। চোট, ফর্মহীনতা মিলিয়ে ৫ টেস্টেই আটকে ছিল ক্যারিয়ার। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ফেরার ম্যাচে ৬ষ্ঠ টেস্ট খেললেন এমন এক উইকেটে, যেখানে বোলারদের জন্য নেই তেমন কিছু। কিন্তু বিরূপ কন্ডিশনেও দারুণ বল করে আলো কেড়েছেন এই ডানহাতি। বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল হকও সতীর্থের এমন নৈপুণ্যে দারুণ উচ্ছ্বসিত।
ব্যাটসম্যানদের জন্য স্বর্গোদ্যানে বাকিদের বিবর্ণ দশার মাঝে তাসকিনকে দেখা গেছে বারবার প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের পরাস্ত করতে। ভালো লাইন-লেন্থ আর দারুণ গতিতে উইকেট নেওয়ার কাছেও গেছেন কয়েকবার। ফিটনেসের সর্বোচ্চ দেখিয়ে বল করেছেন ৩০ ওভার। তাতে ১১২ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট তার। ব্যাটসম্যানদের দাপট দেখেও দমে যাননি, ধৈর্য ধরে টানা চেষ্টা চালিয়ে গেছেন তিনি। উইকেটে সহায়তা থাকলে তাসকিনের উইকেট সংখ্যা নিশ্চিতভাবেই অনেক বেশি হতে পারত।
রবিবার ম্যাচ ড্রয়ের পর ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে মুমিনুল বলেন, তার মনেই হয়নি তাসকিন কেবল ৬ষ্ঠ টেস্টে নেমেছেন, ‘আমি তাসকিনের বোলিং খুবই উপভোগ করেছি। ওর বোলিং দেখে মনে হচ্ছে না...আপনারা জানেন কিনা জানিনা এই টেস্ট নিয়ে ও মাত্র ৬টা টেস্ট খেলেছে। তো কোনভাবেই মনে হয়নি ৬টা টেস্ট ম্যাচ খেলা খেলোয়াড়।’
চোট কাটিয়ে মাঠে ফেরার পর কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন এই পেসার। ফিটনেসের দিক থেকে খেটে নিজেকে এনেছেন সেরা জায়গায়। মুমিনুল মনে করেন কষ্টের ফল পাচ্ছেন তাসকিন, ‘গত এক দেড় বছর থেকে ‘অনেক চেষ্টা করছে, অনেক কষ্ট করছে। আমার মনে হয় এটা কষ্টের ফল। সত্যি কথা বলতে ও অনেক এফোর্ট দিয়েছে। যখন দলের দরকার তখন এসেছে। এই কন্ডিশনে এত লম্বা সময় বল করাও কঠিন। আমি খুবই খুশি ওর পারফরম্যান্সে।’