ক্যান্ডিতে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের কঠিন সময় দিয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার প্রাভিন জয়াবিক্রমা। তার ঘূর্ণিজাদুতে তামিম-মুশফিক-মুমিনুলরা রীতিমতো খাবি খেয়েছেন। অথচ ক্যান্ডি টেস্ট দিয়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যাত্রা শুরু হয়েছিল জয়াবিক্রমার। নিজের অভিষক ম্যাচ খেলতে নেমেই বাঁহাতি স্পিনার হিসেবে ১১ উইকেট নিয়ে ইতিহাসের স্বাক্ষী হয়ে গেছেন শ্রীলঙ্কান অভিষিক্ত স্পিনার প্রাভিন জয়াবিক্রমা।
প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেট নেওয়া জয়াবিক্রমা দ্বিতীয় ইনিংসে নিয়েছেন ৫ উইকেট। সবমিলিয়ে দুই ইনিংস ১৭৮ রানে ১১ উইকেট নেন তিনি। এতেই শ্রীলঙ্কার হয়ে অভিষেকে সবচেয়ে বেশি উইকেট নেওয়ার কীর্তিও গড়েছেন বাঁহাতি স্পিনার। পাশাপাশি অ্যালফ ভ্যালেন্টাইনের ৭১ বছর আগের রেকর্ডেও ভাগ বসিয়েছেন এই লঙ্কান।
১৯৫০ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বাঁহাতি স্পিনার অ্যালফ ভ্যালেন্টাইন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যানচেস্টারে ১১ উইকেট নিয়েছিলেন ২০৪ রান খরচায়। বাঁহাতি স্পিনারদের মধ্যে এতদিন এটাই ছিলো সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড। ৭১ বছর ধরে রেকর্ডটি আজ নিজের করে নিয়েছেন জয়াবিক্রমা। আর এই রেকর্ডে ভাগ বসাতে গিয়ে শ্রীলঙ্কার হয়ে অভিষেক টেস্টে সবচেয়ে বেশি উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব দেখালেন ২২ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার। আগের রেকর্ড ছিল বাংলাদেশের বিপক্ষেই, ২০১৮ সালে ঢাকা টেস্টে আকিলা দনাঞ্জয়ার ৪৪ রানে ৮ উইকেট।
প্রথম ইনিংসে জয়াবিক্রমা ৯২ রান দিয়ে নিয়েছেন ৬ উইকেট। যা অভিষেকে শ্রীলঙ্কার হয়ে ইনিংসে সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড। আগের সেরা ছিল ১৯৯৯ সালে ঢাকায় পাকিস্তানের বিপক্ষে উপুল চন্দনার ১৭৯ রানে ৬ উইকেট। তার ঘূর্ণিতে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ অলআউট হয় ২৫১ রানে। এমনকি জয়াবিক্রমার ঘূর্ণিতে দিশেহারা বাংলাদেশ ফলোঅনও এড়াতে পারেনি। দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৩৭ রানের কঠিন লক্ষ্যের বিপরীতে খেলতে নেমে আরও জয়াবিক্রমার সামনে পড়ে সফরকারীরা। দ্বিতীয় ইনিংসে ৮৬ রানে জয়াবিক্রমা নেন ৫ উইকেট।