দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ দিয়ে নজর কেড়েছিলেন বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলাম। সম্প্রতি শেষ হওয়া প্রেসিডেন্টস কাপের পর চলমান বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টিতে কাপেও প্রতিভার সাক্ষর রেখে চলেছেন তিনি। গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের হয়ে খেলা এই পেসার সতীর্থ হিসেবে পেয়েছেন আরেক বাঁহাতি পেস বোলার মুস্তাফিজুর রহমানকে। চট্টগ্রামের হয়ে দুজনই অসাধারণ বল করছেন। তিনি জানিয়েছেন, কাটার মাস্টারের সঙ্গে জুটি বেঁধে বোলিং উপভোগ করছেন এই তরুণ।
বাংলাদেশ ক্রিকেটে মুস্তাফিজের অভিষেকটা হয়েছিল একদম স্বপ্নের মত। মাঝখানে ফর্ম হীনতায় ভুগলেও বঙ্গবন্ধু কাপ দিয়ে আবারো ছন্দে ফেরার ইঙ্গিত দিয়ে চলেছেন তিনি। টুর্নামেন্টটিতে ইতিমধ্যেই ৪ ম্যাচে ১২ উইকেট শিকার করে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি তিনি। তারই সতীর্থ শরিফুলও কম যান না। তরুণ এই বাঁহাতি পাল্লা দিয়ে একই সংখ্যক ম্যাচে ইতিমধ্যেই ৭ উইকেট শিকার করেছেন।
শরিফুলের গতির সঙ্গে অসাধারণ লাইন-লেন্থ অভিজ্ঞ অনেক ক্রিকেটারকেই বেশ বিপাকে ফেলছে। দুজনই জুটি বেঁধে দলের জয়েও রাখছেন গুরুত্বপূর্ণ অবদান। তাই মুস্তাফিজের সঙ্গে বোলিং উপভোগ করছেন যুব বিশ্বকাপ জয়ী এই পেসার। প্রয়োজনে কাটার মাস্টারের কাছে ম্যাচের পরিস্থিতি বুঝে বোলিংয়ের টোটকা আয়ত্ব করছেন বলেও জানান তিনি।
সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে শরিফুল বলেন, 'মুস্তাফিজ ভাইয়ের সঙ্গে বল করে খুবই উপভোগ করছি। সবসময়ই প্রতি ওভারে বলে যাওয়ার আগে ভালো পরামর্শ দিয়ে থাকে বা ম্যাচের পরে ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ী কিভাবে বল করতে পারি। দুইজনের মধ্যেই ভালো একটা লড়াই চলছে। ওনাকে সব কিছু বলা যায়। উনিও সবকিছু বলে পরিস্থিতি অনুযায়ী কিভাবে বল করতে হবে খুব ভালো লাগে খুব মজা লাগে ওনার সাথে বল করতে।'
প্রত্যেক বলে ডেলিভারির পরে ফলার থ্রু দিতে দিতে ব্যাটসম্যনের কাছে চলে যেতে দেখা যায় শরিফুলকে। দূর থেকে দেখে ব্যাটসম্যানকে স্লেজিং করছেন বলে মনে হলেও ছোট বেলা থেকেই শরিফুল এমনটা করে আসছেন। তাঁর এই আক্রমণাত্বক মনোভাব টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে বলে মনে করেন তিনি। এমনকি মুস্তাফিজ থাকার পরও নতুন বলে বোলিং করাটাও উপভোগ করছেন তরুণ এই পেসার।
এ প্রসঙ্গে শরিফুল আরো বলেন, 'আক্রমণাত্বক ভঙ্গিটি ইতিবাচক প্রভাব ফেলে আর এটা অভ্যাস। ছোট বেলা থেকই বোলিং করে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই চলে যাই ব্যাটসম্যানের কাছে। এটার আগে থেকে কোন প্লানিং থাকে না। নতুন বলে বল করা খুবই উপভোগ করছি কারন সব পেস বোলাররাই চায় নতুন বলে বল করতে। আর পেস বোলাররা আক্রমণাত্বক বোলিং করতে পছন্দ করেন। তাই আমিও নতুন বলে বোলিং করাটা উপভোগ করছি।'