কাগজে-কলমে শক্তিশালী দল গড়েছিল খুলনা। তবুও মাঠের পারফরম্যান্সে শক্ত প্রতিপক্ষ হয়ে উঠতে পারছে না সাকিব-মাহমুদউল্লাহদের নিয়ে গড়া খুলনা। আগে ব্যাটিং করা খুলনার দেওয়া ১৪৭ রান ৪ উইকেট হারিয়েই টপকে যায় নাজমুল হোসেন শান্তর রাজশাহী। অধিনায়ক নাজমুলের বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে ফল ভোগ করেছে গোটা দল। টানা দুই জয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে নাজমুলের রাজশাহী।
১৪৭ রানের জবাবে খেলতে নেমে শুরুতে অবশ্য ওপেনার আনিসুল ইসলামকে হারিয়ে বিপদে পড়ে রাজশাহী। দ্বিতীয় উইকেটে রনি তালুকদারকে সঙ্গে নিয়ে অধিনায়ক নাজমুল ইনিংস মেরামতের কাজটা শেষ করেন। দুইজনের ৪৭ রানের জুটি ভাঙ্গেন লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন। তার ঘূর্ণিতে রনি তালুকদার (২৬) লংঅফে শামীমের হাতে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন। রিশাদের বলে ছক্কা হাকিয়ে হাফসেঞ্চুরি পাওয়া নাজমুল শেষ পর্যন্ত ৫৫ রান করে বিদায় নেন, তখন রাজশাহীর স্কোর ৩ উইকেট ৪৭। ম্যাচ সেরার পুরষ্কার পাওয়া নাজমুল ৩৪ বলে ৬ চার ও ৩ ছক্কায় নিজের ইনিংসটি সাজিয়েছেন।
নাজমুলের বিদায়ে অবশ্য ম্যাচ জিততে বেগ পেতে হয়নি রাজশাহীকে। চতুর্থ উইকেটে ফজলে মাহমুদকে সঙ্গে নিয়ে মোহাম্মদ আশরাফুল গড়েন ৩৩ রানের জুটি। ফজলে মাহমুদ ১৬ বলে ২৪ রান করে আউট হলেও আশরাফুল থাকেন অপরাজিত। সাকিবকে স্কয়ার ড্রাইভ ও পয়েন্ট দিয়ে দুটি চার মেরেছেন সর্বকনিষ্ট টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান। শামিমের বলে লেট কাটে স্কোরিং শটটিও এসেছে আশরাফুলের ব্যাট থেকে। সবমিলিয়ে ২ বলে ৩ চারে আশরাফুল নিজের ২৫ রানের ইনিংসটি সাজিয়েছেন। তার সঙ্গী নুরুল হাসান ৭ বলে ১১ রান করে ইনিংস জয় তুলে নিয়ে মাঠ ছাড়েন।
খুলনার বোলারদের মধ্যে রিশাদ ৩৪ রানে সর্বোচ্চ দুটি উইকেট নিয়েছেন। এছাড়া আল আমিন ও শহিদুল ইসলাম নিয়েছেন একটি করে উইকেট।টস জিতে ব্যাটিং করা খুলনা দ্বিতীয় ওভারেই হারায় ওপেনার ইমরুল কায়েসকে। প্রথম ম্যাচের মতো দ্বিতীয় ম্যাচেও রানের খাতা না খুলেই আউট তিনি। ওয়ান ডাউনে নামা সাকিবও ১২ রানের বেশি করতে পারেননি। মাহমুদউল্লাহর ব্যাট থেকে আসে ৭ রান। আশা দেখানো এনামুলও ফিরে যান ২৪ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ২৬ রানের ইনিংস খেলে।
তাতে ৫১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে খুলনা। ষষ্ঠ উইকেটে আগের ম্যাচের নায়ক আরিফুল যুব বিশ্বকাপজয়ী শামীমকে নিয়ে কার্যকরী ৪৯ রানের জুটি গড়েন। দুর্দান্ত কিছু শটস খেলা শামীম ফেরেন ৩৫ রান করে। ২৫ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় শামীম নিজের ইনিংসটি সাজিয়েছেন।সপ্তম উইকেটে শহীদুলকে নিয়ে আরিফুল ৪৬ রানের জুটি গড়েন। তাদের এই জুটিতে ৬ উইকেট হারিয়ে খুলনা স্কোরবোর্ডে ১৪৬ রান জমা করে। আরিফুল ৩১ বলে ২ চার ও ৩ ছক্কায় ৪১ রানের ইনিংসটি সাজিয়েছেন। অন্যদিকে শহীদুল ১২ বলে অপরাজিত থাকেন ১৭ রানে।রাজশাহীর সেরা বেলার মুকিদুল ইসলাম, ৪৪ রানে তার শিকার ২ উইকেট। এছাড়া এবাদত হোসেন, মেহেদী হাসান, আরাফাত সানি একটি করে উইকেট নেন।