গ্রুপ পর্বে ৮ ম্যাচের মধ্যে সাতটিতে জিতে প্লে-অফে উঠেছিল গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম। পুরো টুর্নামেন্টে প্রতিপক্ষের জন্য আতংক হয়ে উঠেছিল গাজী গ্রুপ। কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের তত্ত্বাবধানে ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিংয়ে অপ্রতিরোধ্য দল হয়ে উঠেছিল তারা। প্রথম কোয়ালিফায়ারে খুলনার সঙ্গে হারলেও দ্বিতীয় সুযোগটা কাজে লাগিয়ে ঢাকাকে বিদায় করে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে চট্টগ্রাম। শুক্রবার বিকেলে সাড়ে চারটায় মাহমুদউল্লাহর খুলনার বিপক্ষে মাঠে নামবে মিঠুনের চট্টগ্রাম। শিরোপার লড়াইয়ের ম্যাচে অভিজ্ঞ খুলনাকেই এগিয়ে রাখছেন চট্টগ্রামের কোচ সালাউদ্দিন।
মাশরাফি-মাহমুদউল্লাহ-ইমরুল-এনামুল-আল আমিনদের নিয়ে অভিজ্ঞ দল খুলনার। চট্টগ্রামও খুব একটা পিছিয়ে নেই লিটন-সৌম্য-মোস্তাফিজ-মিঠুনদের নিয়ে তাদের বেশ ভালো দল। তবুও খুলনাকে এগিয়ে রাখছেন সালাউদ্দিন, ‘যারা ফাইনাল খেলছে, দুই দলেই বেশিরভাগই অভিজ্ঞ খেলোয়াড়। আমি মনে করি টি-টোয়েন্টি অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের খেলা। মাঠের ভেতরে যাদের যত ভালো মাথা থাকবে, তারাই ম্যাচ জিতবে। সেদিক দিয়ে খুলনা অনেক এগিয়ে আছে। কারণ তাদের অনেকগুলো বড় বড় ক্রিকেটার আছে। আমাদের ছেলেদের হয়তো ওই অভিজ্ঞতা নেই, খুব বেশি ফাইনাল ম্যাচও তারা খেলেনি।’
মাঠে দর্শক না থাকায় চট্টগ্রামের ক্রিকেটাররা বাড়তি সুবিধা পাবেন বলে মনে করেন সালাউদ্দিন, ‘যেহেতু দর্শক নেই, এটা একটা বড় ধরণের সুবিধা। দর্শক থাকলে হয়তো একটু চিন্তার বিষয় ছিল। কারণ ওই চাপ প্রেসারটা নেওয়া ছেলেদের জন্য অনেক কঠিন হয়ে যেত। দর্শক না থাকায় একটু শান্তিতে আছি। পুরা টুর্নামেন্টে আমাদের একটা ধারাবাহিকতা ছিল, এ ম্যাচটাও সেভাবে খেলতে পারলে, আমাদের একটা ভালো সুযোগ থাকবে।’
জাতীয় দলের মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান মিঠুনের অধিনায়কত্বেই দারুন খেলছে চট্টগ্রাম। সালাউদ্দিন অধিনায়ক মিঠুনের প্রশংসা করে বলেছেন, ‘মিঠুনের মাথা খুবই ভালো এবং খুব ভালো সিদ্ধান্ত নিতে পারে। আমার খেলোয়াড়রাও বুঝতে পেরেছে মিঠুনের মাথা খুবই ভালো। পাশাপাশি লিটনেরও প্রশংসা অনেক করতে হবে। তারা দুইজন মাঠে ছিল বলে, আমাদের ছেলেদের জন্য অনেক সুবিধা হয়েছে, অনেক সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হয়েছে। আমি মনে করি অধিনায়কত্ব করার মত ম্যাটেরিয়ালস তার আছে। সে যদি ভালো ক্রিকেট খেলে, তাহলে তার অধিনায়ক হওয়ার মত যোগ্যতা আছে।’