নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাউন্ট ম্যাঙ্গানুই টেস্টে কিছুটা প্রতিরোধ গড়তে পারলেও ক্রাইস্টচার্চে ইনিংস ব্যবধানে হেরেছে পাকিস্তান। দ্বিতীয় ম্যাচের শোচনীয় এই হারের ফলে টেস্ট সিরিজে ধবলধোলাইয়ের লজ্জায় পড়তে হয়েছে তাদের। সফরকারীরা নিজেদের সর্বোচ্চ উজাড় করে দিয়েও ফলাফলে পরিবর্তন আনতে পারেননি, এমনটিই বলেছেন দলের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ান।
দলীয় ব্যাটিং মেরুদণ্ড বাবর আজমের অভাব পুরো সিরিজেই অনুভব করেছে সফরকারীরা। এই ডানহাতির অবর্তমানে সিরিজ জুড়েই ব্যাট হাতে সংগ্রাম করেছে দলটি। একটি বারের জন্যও দলীয় সংগ্রহকে ৩০০ রানে নিয়ে যেতে পারেনি তাঁরা। যদিও ফাওয়াদ আলম ও রিজওয়ান বুক চিতিয়ে লড়াই করে প্রথম ম্যাচকে টেনে নিয়ে গিয়েছিলেন পঞ্চম দিনের শেষ সেশন পর্যন্ত। কিন্তু পরের ম্যাচে্টিই হারতে হয় চতুর্থ দিনেই।
হতাশাজনক ব্যাটিংয়ের পর যৎ সামান্য সুযোগ তৈরী করতে পেরেছিলো বোলাররা। কিন্তু সিরিজজুড়েই ফিল্ডারদের পিচ্ছিল হাত সফল হতে দেয়নি তাদেরকেও। যদিও সবকিছু মিলিয়ে দলের খেলোয়াড়রা নিজেদের সর্বোচ্চ চেষ্টাই করেছেন বলে মনে করছেন রিজওয়ান। দেশকে নেতৃত্ব দেয়ার সম্মান অর্জন করলেও এমন শোচনীয় পরাজয়ের পুরো দায়ভার নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন তিনি।
ম্যাচ শেষে গণমাধ্যামে রিজওয়ান বলেন, 'পাকিস্তানকে নেতৃত্ব দেয়া খুবই সম্মানের। চেষ্টা করেও পাকিস্তান ও পিসিবির পক্ষে ফলাফল আনতে না পারায় আমি হতাশ। কিন্তু আমরা চেষ্টা করেছি। সর্বোচ্চ দিয়েই চেষ্টা করেছি। এই সফর থেকে অনেক কিছুই শিখেছি আমরা।'
'অধিনায়ক হিসেবে পুরো দায়ভার আমি নিচ্ছি। টেস্ট ম্যাচে ফিল্ডিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ম্যাচ জিততে হলে অবশ্যই ২০ উইকেট তুলে নিতে হবে। বোলাররা সুযোগ তৈরি করলেও আমরা তাদের ঠিকভাবে সহায়তা করতে পারিনি,' তিনি আরো যোগ করেন।
ম্যাচে কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের দ্বি শতকের সঙ্গে হেনরি নিকোলস ও ড্যারেল মিচেলের শতকে রান পাহাড়ের নিচে চাপা পড়ে অতিথিরা। এরপরে বল হাতে কাইল জেমিসন ঝড়ের সামনে অসহায় আত্মসমর্পণ করে তাঁরা। আর এই বোলারই ম্যাচের মূল পার্থক্য গড়ে দিয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন রিজওয়ান।
ভারপ্রাপ্ত এই অধিনায়ক বলেন, 'নিউজিল্যান্ডকে অভিনন্দন, বিশেষ করে উইলিয়ামসন ও নিকোলসকে। কিন্তু আমাদের মাঝে প্রধান অন্তরায় ছিলো জেমিসন। সে যেভাবে বোলিং করেছে সেটিই ম্যাচের ফলাফলে পার্থক্য গড়ে দিয়েছে।'
দুঃস্বপ্নের এই সফর থেকেও নিজের ব্যাটিং পারফরম্যান্স থেকে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাস খুঁজে নিতে পারবেন রিজওয়ান। সতীর্থদের ব্যর্থতার মিছিলে বিরুদ্ধ পরিবেশে নিজেকে খাপ খাইয়ে দুই ম্যাচে ৫০.৫০ গড়ে ২০২ রান করেছেন তিনি। সিরিজের ৪ ইনিংসে কোন শতকের দেখা না পেলেও তুলে নিয়েছেন ৩টি অর্ধশতক।