গত দুই ম্যাচে শোচনীয় পরাজয় বরণ করে নিতে হয়েছিল জেমকন খুলনাকে। নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে বেক্সিমকো ঢাকার বিপক্ষে নিজেদের দ্বিতীয় জয় পেয়েছে তাঁরা। ঢাকাকে ৩৭ রানে পরাজিত করে বর্তমানে পয়েন্ট তালিকার তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে টুর্নামেন্টের সবচেয়ে অভিজ্ঞ দলটি। আর এই ম্যাচে সুযোগ পেয়েই দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে খুলনার অলরাউন্ডার শুভাগত হোম চৌধুরি।
গত তিন ম্যাচেই খুলনার টপ অর্ডারের ব্যাটসম্যানরা বড় রান তুলতে ব্যর্থ হয়েছেন। আজকেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। প্রথম ছয় ওভারেই তাঁরা এনামুল হক, সাকিব আল হাসান এবং জহুরুল ইসলামকে হারিয়ে বিপাকে পরে। খাঁদের কিনারা থেকে দলকে টেনে তোলেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং ইমরুল কায়েস। এই দুজনের ব্যাটে ভর করে ঢাকাকে ১৪৭ রানের টার্গেট ছুড়ে দেন খুলনার ব্যাটসম্যানরা।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ঢাকাও খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি। দলটির অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম এবং ইয়াসির আলি রাব্বি ছাড়া বাকি সবাই রান তুলতে ব্যর্থ হন। তিন ম্যাচে সুযোগ না পেলেও চতুর্থ ম্যাচে খুলনার একাদশে জায়গা পেয়েই ম্যান অব দ্যা ম্যাচের পুরষ্কার জিতেছেন শুভাগত। ঢাকাকে ১০৯ রানে আটকে রাখতে ৩ ওভার ৩ বল হাত ঘুরিয়ে ১৩ রান খরচায় ৩ উইকেট সংগ্রহ করেন তিনি।
সুযোগ পেলে ভালো করার চেষ্টায় থাকায় শুভাগত ম্যাচ শেষে বলেন, 'ভালো লাগছে। প্রথম ম্যাচ জেতার পর দুটো ম্যাচ আমরা জিততে পারি নাই। আজকে চতুর্থ ম্যাচ। আজকের জয়টা আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমি এই ম্যাচগুলোতে খেলতে পারিনি তবে আমার চেষ্টাছিল যখনই সুযোগ পাবো ভালো খেলার চেষ্টা করব।'
চার ম্যাচেই খুলনার টপ অর্ডাররা রান তুলতে ব্যর্থ হয়েছেন। নিষেধাজ্ঞা থেকে ফেরা সাকিবও ছন্দে নেই। যদিও প্রথম দুই ওভারে মেডেন দিয়ে বিশ্বের তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে ২১ টি মেডেন দেয়ার কৃতিত্ব অর্জন করেন তিনি। টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় শুভাগত বিচলিত না হলেও পরের ম্যাচ গুলোয় তাঁরা স্বরূপে ফিরে আসবেন এমনটাই বিশ্বাস তাঁর।
এ প্রসঙ্গে শুভাগত আরো বলেন, 'আসলে আমাদের শুরুটা ভালো হয়নি। তো এটা আমাদের ব্যাটসম্যানরা প্রাকটিসে চেষ্টা করছে ম্যাচেও চেষ্টা করছে। আশা করছি পরের ম্যাচ থেকে আমরা আরো ভালো করব।'