My Sports App Download
500 MB Free on Subscription


মুমিনুল-শান্তর উচ্ছ্বসিত প্রশংসায় প্রধান কোচ

এক টেস্টে দুই শিষ্যের সেঞ্চুরি। নাজমুল হোসেন শান্ত দেখা পেয়েছেন ক্যারিয়ারের প্রথমটির। আর মুমিনুল হক হাঁকালেন ক্যারিয়ারের এগারতম ও বিদেশের মাটিতে প্রথম শতক। পাল্লেকেলে টেস্টে এই দুই টাইগারের সেঞ্চুরি ও ব্যাটিংয়ের ধরণে বেশ তৃপ্ত হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। তাই শিষ্যদের ভাসালেন উচ্ছ্বসিত প্রশংসায়।

প্রথম দিন শূন্য হাতে ফেরা সাইফ হাসানের বিদায়ে ক্রিজে আসা শান্ত’র ব্যাটিং রথ থেমেছে দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনে এসে। যাওয়ার আগে এই তরুণ টপ অর্ডার নামের পাশে যোগ করে গেছেন ১৬৩ রান। শিষ্যের এমন সোনালি সাফল্যে গুরু হিসেবে সন্দেহাতীতভাবেই তুষ্ট ডমিঙ্গো। তবে তার চেয়ে ঢেঢ় খুশি তিনি হয়েছেন শান্ত যেভাবে সময় নিয়ে নিজের ইনিংস গড়েছেন ও রানের জন্য নির্দিষ্ট কিছু জায়গা বেছে নিয়েছেন।

অপর শিষ্য মুমিনুলের সামর্থ্য সম্পর্কেও যথেষ্ট ওয়াকিবহাল প্রোটিয়া এই হেড কোচ। ভালো করেই জানতেন নিজের সেরাটি বের করে আনতে সবসময় তৎপর থাকা মুমিনুল লঙ্কায় ঠিকই সাফল্যের দেখা পাবেন। হয়েছেও তাই। জানুয়ারিতে ঘরের মাঠে সফরকারি উইন্ডিজদের বিপক্ষে সেঞ্চুরি (১১৫) করে নিজের দশম সেঞ্চুরি পূর্ণ করে পরের সিরিজেই লঙ্কায় গিয়ে আরেকটি শতকের দেখা পেলেন। লিটল মাস্টারের এমন ব্যাটিংকে অভাবনীয় সাফল্য অর্জন বলেই আখ্যা দিলেন হেড কোচ।

বৃহস্পতিবার পাল্লেকেলে টেস্টের বৃষ্টিবিঘ্নিত দিন শেষে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসে তিনি একথা বলেন, ‘আমার মনে হয়, ওর (শান্ত) ইনিংসটি নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। এতটা ধৈর্য্য ধরে, বলের পর বল ছেড়ে, শটসের জন্য সে নির্দিষ্ট জায়গা বের করে নিয়েছে। ও অসাধারণ একটি ইনিংস খেলেছে। আমি খুবই খুশি। গত কয়েকমাসে ও বেশ পরিশ্রম করেছে।’

ডমিঙ্গো আরও বলেছেন, ‘মুমিনুল হক ওর খেলাটি ভালো করেই বোঝে। ওই খুবই শান্ত স্বভাবের। আমার ধারণা ওর স্বভাবই ওকে গোছালে ক্রিকেট খেলতে সাহায্য করেছে। ও ওর প্রস্তুতিতে খুবই সতর্ক। ভীষণ কঠোর পরিশ্রমি সে। ওর জানে ওর শক্তিমত্তা ও দূর্বলতা কোথায়। আমার মতে ও একজন অসাধারণ টেস্ট ব্যাটসম্যান। দলকে নেতৃত্ব দিতে ও ওর সেরাটি উজাড় করে দিচ্ছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ও সেঞ্চুরি করল, এখানে এসে আবার। আমার ধারণা এটা ওর ১১তম সেঞ্চুরি। অনন্য অর্জনই বলব আমি।’