My Sports App Download
500 MB Free on Subscription


‘সত্তরের’ পর অশ্বিনের অভিষেকের অনুভূতি

দেশের বাহিরে বল হাতে ভারতীয় সাদা পোশাকে ভালো সময় যাচ্ছিলো না স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিনের। তবে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দিবা রাত্রির টেস্টে অভিজ্ঞতা ও ব্যাটিং সামর্থ্যের কারণে একাদশে সুযোগ পেয়েছেন তিনি। সুযোগ পেয়েই যেন বাজিমাত করেছেন অভিজ্ঞ এই স্পিনার। ক্যারিয়ারে সত্তরের বেশি টেস্ট খেললেও দীর্ঘদিন পর অজিদের বিপক্ষে খেলতে নেমে অভিষেক ম্যাচের মতো অনুভূতি হয়েছে বলে জানান অশ্বিন।

চলতি বছরের শুরুতে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে একটি টেস্ট খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন অশ্বিন। সেই সিরিজের পরে করোনার কারণে দীর্ঘদিন ক্রিকেটসহ সব কিছুই বন্ধ ছিলো। লকডাউনের সেই সময়ে নতুনভাবে নিজেকে প্রস্তুত করেছেন বলে জানান এই বোলিং অলরাউন্ডার। বিগত যেকোন সময়ের চেয়ে বল হাতে সতেজ অনুভব করছেন তিনি। গোলাপি বলের টেস্ট ম্যাচ তাঁকে নতুন অভিষেকের রোমাঞ্চ দিয়েছে বলে জানান তিনি।

দ্বিতীয় দিনশেষে অশ্বিন বলেন, 'আমরা আবারো টেস্ট ম্যাচ খেলতে পারছি তাই আমি খুব খুশি। আমাদের চারপাশে যা ঘটেছে একসময় ভেবেছিলাম টেস্ট আর খেলা হবে না আমাদের। কিন্তু খেলার জন্য আমি চরম পাগল এবং এখনো নিয়মিত কঠোর পরিশ্রম করি। এমনকি লকডাউনেও তা অব্যাহত ছিলো।’

তিনি আরও বলেন, ‘বল হাতে যখন গিয়েছি তখন দারুণ সতেজ অনুভব করছিলাম। দুর্দন্ত অনুভূতি ছিলো সেটি। গোলাপি বল এবং সব কিছু নিয়ে দারুণ রোমাঞ্চিত অনুভব করছিলাম। আমার মনে হচ্ছিলো আমি আবার আমার অভিষেক ম্যাচ খেলতে নেমেছি। আমার আমার বোলিং উপভোগ করেছি।'

৫৫ রানে ৪ উইকেট নিয়ে অজিদের রীতিমতো ধসিয়ে দিয়েছেন তিনি। এমন পারফরম্যান্সের পরও নিজেকে তিনি লায়নের সঙ্গে তুলনা করতে নারাজ তিনি। তিনি মনে করেন, তাঁদের বোলিংয়ের ধরন আলাদা। তাঁরা নিজেদের মতো করে সাফল্য পেয়েছেন। নির্দিষ্ট কোনো পন্থায় আটকে না থাকা থেকে বিভিন্ন পন্থায় ব্যাটসম্যাদের আটকাতে চান।

এ প্রসঙ্গে অশ্বিন বলেন, ‘সব স্পিনারেরই বোলিংয়ের ধরন আলাদা। কখনও কখনও অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটে। এই টেস্টেও সেটা হয়েছে। নাথান আর আমি সম্পূর্ণ আলাদাভাবে বোলিং করি। আমরা আলাদা ধরনের বোলার। আমাদের সাফল্য পাওয়ার ধরনও আলাদা। আমি কোনও নির্দিষ্ট পন্থা আঁকড়ে ধরে থাকতে চাই না। বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে ব্যাটসম্যানদের কাজটা কঠিন করে তোলাই আমার লক্ষ্য।’