My Sports App Download
500 MB Free on Subscription


ওয়ানডে সিরিজ নিয়ে আশাবাদি বাংলাদেশ

বাংলাদেশ কখনও নিউ জিল্যান্ডকে তাদের মাটিতে হারাতে পারেনি। অসহায় আত্মসমর্পণ করতে হয়েছে। এবার ভিন্ন কিছু হতে যাচ্ছে মনে করেন কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। ২০১৪ ও ২০১৭ সালে নিউ জিল্যান্ডে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে দুটি সফরে জিতেছিলেন তিনি। বাংলাদেশ কোচের বিশ্বাস, এবার তার দলের কিছু করার দুর্দান্ত সুযোগ যা কোনও বাংলাদেশি দল আগে করতে পারেনি।

শনিবার ডানেডিনে শুরু হতে যাওয়া আসন্ন তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে নিউ জিল্যান্ডকে চমকে দেওয়ার দুর্দান্ত সুযোগ দেখছেন ডমিঙ্গো। সফল হলে ২০২৩ সালের বিশ্বকাপে ওঠার পথ তৈরি করা অনেক সহজ হয়ে যাবে বললেন তিনি। ডমিঙ্গো বলেছেন, ‘আমাদের জন্য কিছু করার দুর্দান্ত একটা সুযোগ এটা, যা কোনও বাংলাদেশি দল আগে করতে পারেনি।’

দলের সবার মধ্যে রোমাঞ্চ কাজ করছে জানালেন ডমিঙ্গো, ‘আমরা সবাই রোমাঞ্চিত। বাংলাদেশের সঙ্গে এটা আমার প্রথম নিউ জিল্যান্ড সফর। আগে এখানে এসেছিলাম দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে। আমি জানি এটা খুব কঠিন জায়গা। কিন্তু এই তরুণ খেলোয়াড়দের জন্য দারুণ সুযোগ রয়েছে। বিশ্বকাপ শুরু হতে তিন বছর বাকি এবং নিউ জিল্যান্ড বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ দল। যদি সত্যিকারের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ভারতে যেতে চান, তাহলে এই ধরনের সিরিজে বড় পারফরম্যান্স করতে হবে।’

গত জানুয়ারিতে ঘরের মাঠে বাংলাদেশ ৩-০ তে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারায়। আর গত বছরের মার্চ থেকে কোনও ওয়ানডে খেলেনি নিউ জিল্যান্ড। ডমিঙ্গোর মতে, ওয়ানডেতে বাংলাদেশ শক্তিশালী একটা দল। ফাস্ট বোলিং আক্রমণ দিয়ে নিউ জিল্যান্ডকে চমকে দেওয়ার মতো যথেষ্ট সামর্থ্য তাদের আছে। দক্ষিণ আফ্রিকান কোচ বলেছেন, ‘আমি মনে করি এই মুহূর্তে ৫০ ওভারের ফরম্যাট আমাদের শক্তির জায়গা। বিশ্বকাপে দলের পারফরম্যান্স যদি দেখেন এবং খেলোয়াড়দের গড়ের দিকে তাকান, তাহলে দেখা যাবে ওয়ানডেতে আমাদের ভালো পরিসংখ্যান আছে।’

হাসান মাহমুদের সঙ্গে তাসকিন আহমেদের পেস বিভাগে আস্থা রাখছেন ডমিঙ্গো, ‘আমি মনে করি আমাদের কয়েক জন ভালো তরুণ ফাস্ট বোলার আছে যারা এমন অবস্থায় আছে, যা হয়তো নিউ জিল্যান্ড আগে কখনও দেখেনি। তারা এমনটা হয়তো প্রত্যাশাও করেনি। হাসান মাহমুদ ও তাসকিন আহমেদ সুন্দর বোলিং করছে। আমাদের কয়েক জন ফাস্ট বোলারদের নিয়ে আমরা রোমাঞ্চিত।’

ডানেডিনের ইউনিভার্সিটি ওভালে হাইস্কোরিং ম্যাচ দেখতে পাচ্ছেন ডমিঙ্গো। তবে সকালের দিকে পিচের আর্দ্রতার কারণে বোলাররা সুবিধা পাবে বললেন তিনি, ‘এখানকার ঘরোয়া ক্রিকেট কিছুটা অনুসরণ করি আমি। আমার মনে হয় এই ভেন্যুতে গড় রান ৩০৭ রানের মতো। এখানে কোনও কোনও দিকের বাউন্ডারি বেশ ছোট, ৬৫ মিটার। আমরা ভালো রানের প্রত্যাশা করছি। সকালের দিকে পিচে আর্দ্রতা থাকবে। প্রথম ঘণ্টায় কী হয় সেটা দেখা হবে বেশ দারুণ।’

কনুইয়ের ইনজুরিতে নেই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন, হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে প্রথম ওয়ানডেতে খেলবেন না রস টেলরও। তাতে করে নিউ জিল্যান্ডকে হালকাভাবে নিলে দলের জন্য বিপদ হতে পারে বলে সতর্ক করলেন ডমিঙ্গো, ‘প্রথম ম্যাচে তাদের (কেন উইলিয়ামসন ও রস টেলর) না পাওয়া আমাদের জন্য দারুণ খবর। কিন্তু আমরা জানি নতুন খেলোয়াড়রা সবসময় তাদের প্রতিষ্ঠিত করতে চায়, তাই তারা ভালো করার জন্য উজ্জীবিত থাকবে।’