গেল মার্চে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পেয়েছেন তামিম। ৮ মাস আগে দায়িত্ব পেলেও করোনার কারনে আন্তর্জাতিক সূচী ছিলো না বাংলাদেশের। ফলে অধিনায়কত্ব করার সুযোগ হয়নি তামিমের। নিজেকে প্রমাণের জন্য অন্তত ২০ ম্যাচ চান তামমি।
তামিম মনে করেন অন্তত ২০ থেকে ২৫ ম্যাচ পর অধিনায়কত্বের বিচার করা উচিত, ‘আমি যেদিন অধিনায়ক হয়েছি সেদিনই বলে দিয়েছিলাম, অধিনায়কত্ব আপনি বিচার করবেন ছয়মাস, এক বছর দিয়ে । সেটা বিশ্বের যত বড় নেতা হোক না কেন, যত ছোট নেতা হোক না কেন। দুই ম্যাচ তিন ম্যাচ পর আপনারা শুরু করে দেন অধিনায়কত্বের চাপ। এটা শুধু আমার জন্য না। দুই ম্যাচ তিন ম্যাচে কেউ কিছু শিখতে পারে না। একটা বাচ্চা হাঁটতে নয় মাস সময় নেয়। প্রথম যদি সে না হাঁটে আপনি তাকে বলতে পারেন না যে সে হাঁটতে পারে না। সময় লাগবে। অধিনায়কত্ব আমার খেলায় কতটুকু প্রভাব ফেলছে অন্তত ২০-২৫ ম্যাচ পর বিচার করতে হবে।’
অধিনায়কত্ব হলেই কেবল বাড়তি দায়িত্ব থাকে সেটি মানেন না তামিম। দায়িত্ব ছাড়াও দলের নানা মুহুর্তে নানা সিদ্ধান্তের প্রয়োজন হতে পারে। তামিম অধিনায়কত্ব পাওয়ার আগে সেগুলো যথাযথ ভাবে করেছেন, ‘আমার কাছে যেটা মনে হয় অধিনায়কের দায়িত্ব অন্যদের চেয়ে বেশি থাকে। সবার দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। আমি চেষ্টা করবো যতটুকু সম্ভব সবকিছু করার। এরপর দেখতে হবে কী হয়। এটা আমি অধিনায়ক না থাকলেও করি। আমাকে অধিনায়ক হয়েই এই দায়িত্ব পালন করতে হবে, এটা আমি বিশ্বাস করি না। নেতা আপনি যেকোনো সময়ই হতে পারেন। ভালো নেতা হওয়ার জন্য অধিনায়কত্বের দরকার নেই। নেতা হিসেবে আপনাকে কথার চেয়ে বেশি কাজ করতে হবে।’