দীর্ঘ সাতদিন পর অবশেষে খোলা মাঠে অনুশীলনের সুযোগ পেলেন মুশফিক-তামিমরা। বৃহস্পতিবার লিংকন গ্রিন মাঠে প্রথমদিন অনুশীলনের সুযোগ পেয়ে সবই করেছেন তামিমরা। ছোট ছোট ৭টি গ্রুপে ভাগ হয়ে ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিংসহ ফিটনেসও ঝালাই করেন নেন তারা।
আলহামদুলিল্লাহ, প্রথম ৭ দিন হোম কোয়ারেন্টিন করার পর আজকে অষ্টম দিনে প্রথম ছোট ছোট গ্রুপে অনুশীলনে গেলাম। আলহামদুলিল্লাহ, ওভারল সব মিলিয়ে ভালো ছিল। যদিও প্রথমবারের মত অভিজ্ঞতা হলো, এরকম হোম কোয়ারেন্টিন মেইনটেইন করে নিউজিল্যান্ড ট্যুরে আসা। তো আলহামদুলিল্লাহ ওভারল সব মিলিয়ে ভালো ছিল। যেহেতু আমরা এজ এ স্পোর্টসম্যান সব ধরণের পরিস্থিতিতে নিজেদের মানিয়ে নিতে চেষ্টা করি।
বৃহস্পিতবার সকালে ক্রিকেটারদের স্কিল অনুশীলনের শুরুটাই হয় ফিল্ডিং দিয়ে। নিউজিল্যান্ডের মাঠে বাতাসের কারনে লং ক্যাচে সমস্যায় পড়তে হয় ক্রিকেটারদের। তাইতো মাঠে নামার আগে সেই প্রস্তুতি নিতেই লং ক্যাচ অনুশীলন করেছেন ক্রিকেটাররা। সাইফউদ্দিন জানালেন, ‘আজকে অনুশীলনে আমরা সবার আগে আমরা ফিল্ডিংটা নিয়ে কাজ করেছি, শর্ট ক্যাচ এবং হাই ক্যাচ নিয়ে। কারণ এখানে একটা ওয়েদার এবং বাতাসের একটা ব্যাপার থাকে, এটা মানিয়ে নেওয়ার জন্য ক্যাচিং করা।’
টানা সাতদিন হোটেল বন্দি হয়ে থাকতে হয়েছে ক্রিকেটারদেরকে। বুধবার জিম করার সুযোগ পেলেও আজ থেকেই মূলত স্কিল অনুশীলন করার সুযোগ পাচ্ছে। তবে স্বাধীনভাবে অনুশীলন করতে আরও ৬ দিন অপেক্ষা করতে হবে মুশফিকদের। সাইফউদ্দিনের কথায় উঠে এলো আজকের অনুশীলনের বর্ণনা, ‘শুরুতে আমরা ফিল্ডিং অনুশীলন করেছি। এরপর আমরা ছোট ছোট সেশনে ব্যাটিং এবং বোলিং করেছি। শেষে একটু ফিটনেস নিয়ে কাজ করেছি। যেহেতু আমরা সাত দিন ফিটনেস নিয়ে কাজ খুব বেশি করতে পারিনি। যার কারণে ট্রেইনারের ইন্সট্রাকশন অনুযায়ী আমরা রানিংটা করলাম। আশা করি ছোট ছোট ট্রেনিং করে নিজেদের মানিয়ে নিতে পারবো।’
নিউজিল্যান্ড কন্ডিশনে বাংলাদেশ দল এখনো পর্যন্ত কোন ম্যাচ জিততে পারেনি। তবে আগের সব হতাশা ভুলিয়ে দিতে আশাবাদি সাইফউদ্দিনরা, ‘ওয়ানডেতে আমরা অনেক ভালো দল। আমরা যদি সবাই আমাদের ভালো খেলতে পারি, দিনটা যদি আমাদের হয়, অবশ্যই ফল আমাদের পক্ষে কথা বলবে। পাশাপাশি টি-টোয়েন্টিও আছে। যেহেতু আমাদের প্রাপ্তির খাতা একদমই শূন্য, তো আমাদের চেষ্টা থাকবে এ সিরিজ থেকে কিছু নিয়ে যেন দেশে ফেরা।’