বাংলাদেশের জন্য এটা ছিল দীর্ঘদিন করোনা বিরতির পর প্রথম আন্তর্জাতিক সিরিজ। অন্যদিকে আরও আগেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেছিল উইন্ডিজ। তবে তাদের দলের সেরা ক্রিকেটাররাই এই সফরে আসেননি। অনেকটা আনকোরা দল নিয়ে বাংলাদেশের সামনে যা পরিণতি হওয়ার কথা ছিল সেটাই হয়েছে। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ৩-০ ব্যবধানে জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ। আজ তৃতীয় ওয়ানডেতে ক্যারিবীয়রা হেরেছে ১২০ রানের বড় ব্যবধানে।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৬ উইকেটে ২৯৭ রান তুলেছে বাংলাদেশ। চার ব্যাটসম্যান পঞ্চাশোর্ধ স্কোর করেছেন। অধিনায়ক তামিম ইকবাল ৮০ বলে ৬৪, সাকিব আল হাসান ৮১ বলে ৫৫, মুশফিকুর রহিম ৫৫ বলে ৬৪ এবং মাহমুদউল্লাহ ৪৩ বলে অপরাজিত ৬৪* রান করেন। ২টি করে উইকেট নেন আলজারি জোসেপ আর রেমন রেইফার।জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ৭ রানেই প্রথম উইকেট হারায় ক্যারিবীয়রা। প্রথম আঘাত হানেন 'কাটার মাস্টার' খ্যাত মুস্তাফিজুর রহমান। দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে মুশফিকুর রহিমের গ্লাভসবন্দি হন কিওর্ন ওটলি (১)। মুস্তাফিজের দ্বিতীয় শিকার সুনিল অ্যামব্রিস। দলীয় ৪১ রানে মুস্তাফিজের বলে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে পড়েন ১৩ রান করা এই ওপেনার।
মুস্তাফিজুর রহমানের জোড়া আঘাত সামলে পাওয়ার প্লেতে খুব একটা রান তুলতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১০ ওভারে ২ উইকেটে এসেছে ৪৪। ত্রয়োদশ ওভারে শিকার ধরেন মেহেদী হাসান মিরাজ। দ্বিতীয় ওয়ানডের ম্যাচসেরা এই স্পিনার কাইল মেয়ার্সকে (১১) লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে ফেলেন। এরপর জোড়া আঘাত হানেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। পরপর দুই ওভারে ফিরিয়ে দেন জেসন মোহাম্মদ (১৭) এবং এনক্রুমা বনারকে (৩১)।ক্যারিবীয়দের ৬ষ্ঠ উইকেটের পতন ঘটে মেহেদী মিরাজের ঘূর্ণিতে। মুশফিকের গ্লাভসবন্দি হয়ে ফিরে যান জামার হ্যামিল্টন (৫)। এর মাঝেই কুঁচকিতে টান লাগায় মাঠ ছাড়েন ৪.৫ ওভারে মাত্র ১২ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থাকা সাকিব আল হাসান। গত দুই ম্যাচে বোলিং বা ব্যাটিং কিছুই না করা সৌম্য সরকার এরপরের শিকারী। এই পার্টটাইম মিডিয়াম পেসারের বলে হাফ সেঞ্চুরির কাছে গিয়ে আউট হন রোভম্যান পাওয়েল (৪৭)।
আলজারি জোসেপ (১১) হয়ে যান রান-আউট। পেসার আকিল হোসেনকে (০) ফিরিয়ে নিজের তৃতীয় শিকার ধরেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। শেষ উইকেট হিসেবে ছেঁটে দিয়ে বাংলাদেশকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন তাসকিন আহমেদ। ৪৪.২ ওভারে ১৭৭ রানে অল-আউট হয় উইন্ডিজ। ৫.৪ ওভার হাতে রেখেই ১২০ রানের বড় জয় পায় বাংলাদেশ। মোট ৮ জন বোলারকে দিয়ে বল করিয়েছেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান আর মেহেদী মিরাজ। ১টি নিয়েছেন সৌম্য সরকার আর তাসকিন আহমেদ। একমাত্র সাইফউদ্দিন ছাড়া (৫.৬৭ ইকনোমি) কেউই ৪ এর ওপর রান দেননি।