My Sports App Download
500 MB Free on Subscription


সেঞ্চুরির পর নাসিরের চার উইকেট

নিজের প্রত্যাবর্তনের ম্যাচটি আলোকিত করে রাখলেন নাসির হোসেন। রংপুরের শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার আগে খেলেছেন ১১৫ রানের ইনিংস। এরপর বল হাতে ঢাকাকে গুড়িয়ে দিয়েছেন চার উইকেট নিয়ে। নাসিরের অলরাউন্ডস পারফরম্যান্সে রংপুরের সামনে সুযোগ ম্যাচটি জেতার। প্রথম স্তরের আরেক ম্যাচে খুলনার বিপক্ষে জাকির হাসানের সেঞ্চুরিতে প্রতিরোধ গড়েছে সিলেট।

জাতীয় লিগে প্রথম স্তরের খেলায় বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে গড়িছে রংপুর ও ঢাকার ম্যাচ। প্রথম ইনিংসে ঢাকার করা ৩৬৫ রানের জবাবে নাসিরের সেঞ্চুরিতে (১১৫) ২৩০ রান করে রংপুর বিভাগ। আগের দিন ৯৩ রানে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেছিলেন নাসির। বুধবার তৃতীয় দিন আরও ২২ রান যোগ করে আউট হয়েছেন এই স্পিনিং অলরাউন্ডার। ২৫২ বলে ১১ চার ও ২ ছক্কায় নাসির নিজের ইনিংসটি সাজিয়েছেন।

১৩৫ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে মাঠে নামে ঢাকা। সৌরওয়ার্দী শুভ ও নাসিরের স্পিন জাদুতে ১২৮ রানে অলআউট হয় স্বাগতিকরা। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪০ রান আসে আরাফাত সানি জুনিয়রের ব্যাট থেকে। নাসির ৪১ রান খরচায় সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট নিয়েছেন। এছাড়া শুভ ২৬ রানে তিনটি উইকেট নেন। মাহমুদুল হাসান লিমন ৩৯ রানে নেন দুটি উইকেট।২৬৪ রানের জয়ের লক্ষ্যে খেলতে শুরুতেই ধাক্কা খায় রংপুর। দুই ওপেনার ৫ রানে বিদায় নিলে দিনশেষে ২ উইকেট হারিয়ে ৩৫ রান স্কোরবোর্ডে জমা করতে পারে দলটি। জয়ের জন্য আরও ২২৯ রান করতে হবে নাসির-আকবর আলীদের নিয়ে গড়া দলটিকে।

এদিকে প্রথস স্তরের আরেক ম্যাচে খুলনার বিপক্ষে ফলো অনে পড়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ঘুরে দাঁড়িয়েছে সিলেট বিভাগ। মূলত জাকির হাসানের সেঞ্চুরিতে ইনিংস হার এড়িয়ে লিডও নিয়েছে তারা।  শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে সিলেট ৫ উইকেট হারিয়ে তুলেছে ২৫০ রান। দুই ইনিংস মিলে তাদের লিড ৯ রান। সিলেটের হয়ে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন জাকির হাসান। অপরাজিত আছেন ১১৮ রানে। অমিত হাসান করেছেন ৬৬ রান। এর আগে খুলনার বোলিং তোপে প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৩৪ রান করে অল আউট হয় সিলেট। প্রথম ইনিংসে খুলনা করেছিলো ৩৭৫ রান। 

মঙ্গলবার ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩০ রানে দিন শেষ করেছিলো সিলেট। সেখান থেকে আজ মাত্র ৪ রান যোগ করে বাকি ২ উইকেট হারায় তারা। ২৪১ রানে পিছিয়ে থেকে ব্যাটিংয়ে নেমে দ্বিতীয় ইনিংসেও শুরুটা ভালো হয়নি সিলেটের। ২৮ রান যোগ হতেই ২ উইকেট হারায় তারা। এরপরই দলের হাল ধরেন অমিত ও জাকির। উইকেটের পিছনে ক্যাচ দিয়ে ৬৬ রানে ফেরেন অমিত। অমিত আউট হয়ে গেলেও অন্যপ্রান্ত আগলে রাখেন জাকির। শেষ পর্যন্ত দলের ইনিংস পরাজয় এড়িয়ে দলকে লিড এনে দেন। ১৯৩ বলে ১৪ বাউন্ডারিতে ১১৮ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন জাকির। অপরপ্রান্তে ১৪ রানে অপরাজিত আছেন অধিনায়ক অলক কপালি।