অস্ট্রেলিয়া-ভারত মাঠের লড়াই মানে ব্যাটে বলে সেয়ানে সেয়ানে লড়াই। কিন্তু সেই লড়াইয়ের ছিটে ফোটাও দেখা যাচ্ছেনা চলতি সিরিজে। সিডনি টেস্ট বাদ দিলে সিরিজের বাকি অংশে দুই দলই ভঙ্গুর ব্যাটিং প্রদর্শনী করেছে। যদিও ইয়ান চ্যাপেল মনে করেন এমন ব্যাটিং প্রদর্শনীই সিরিজকে আকর্ষণীয় করে তুলেছে।
ইতোমধ্যে সিরিজের ৩ ম্যাচ শেষ হয়েছে। কিন্তু কোন দলই তাদের সংগ্রহকে ৩৮০ এর ঘরেও নিয়ে যেতে পারেনি। যেটি অস্টেলিয়া ও ভারত সিরিজে অপরিচিত দৃশ্য। বরং সফরকারীরা পূর্ণ শক্তির দল নিয়েও প্রথম ম্যাচেই মাত্র ৩৬ রানে গুটিয়ে গিয়ে লজ্জায় পড়েছে।
প্রথম ম্যাচে স্বাগতিকদের জয়ের পুর্ণ কৃতিত্ব বোলারদের। নতুবা অ্যাডিলেড ও মেলবোর্নে তাদের ব্যাটিংও ছিলো ছন্নছাড়া। দুই দলই বেশ কয়েকবার অনাকাঙ্ক্ষিত ব্যাটিং ধ্বসের মুখোমুখি হয়েছে। যদিও দুই দলেরই এমন পারফরম্যান্সের কারণে সিরিজে জমজমাট হয়েছে বলে মনে করেন কিংবদন্তী চ্যাপেল।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'দুই দলের ভঙ্গুর ব্যাটিং প্রদর্শনীই সিরিজকে আকর্ষণীয় করে তুলেছে। এমন ব্যাটিং ধ্বস আগে কখনো ঘটেছিলো বলে মনে পড়েনা। ফলস্বরূপ কোন দলই নিরঙ্কুশ কতৃত্ব বিস্তার করতে পারেনি।'
সিরিজের পুরোটা জুড়েই দুই দল পূর্ণ শক্তির দল মাঠে নামাতে পারেনি। সফরকারী অধিনায়ক বিরাট কোহলি প্রথম ম্যাচ খেলেই দেশে ফিরে গিয়েছিলেন। রোহিত শর্মা তৃতীয় টেস্টে দলে যোগ দিয়েছেন। সঙ্গে লম্বা ইনজুরি তালিকা তো ছিলোই। এছাড়াও স্বাগতিকরাও ডেভিড ওয়ার্নারকে শুরুর দুই টেস্টে মাঠে পায়নি।
স্পিন বোলিং মোকাবিলায় ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা বর্তমানে বিশ্বসেরা নন চ্যাপেলের কাছে। যদিও অস্ট্রেলিয়া ও ভারত যদিও ইন্টারন্যাশন্যাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) আয়োজিত বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপের ফাইনালে মুখোমুখি হয় তবে তা সেরা একটি ম্যাচ হবে বলে মনে করেন তিনি। কিন্তু অবশ্যই পুর্ণ শক্তির একাদশ থাকতে হবে দল দুটির কাছে।
চ্যাপেল আরও বলেন, ' পূর্ণ শক্তি নিয়ে যদি দল দুইটি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে মুখোমুখি হয় তবে তা অন্যতম সেরা একটি যুদ্ধ হবে। প্রথমে এবং সর্বাগ্রে আমি বলতে চাই স্পিনারদের বিপক্ষে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের আর সর্বশ্রেষ্ট বলা যাবেনা। তারা হয়তোবা অন্যদের চেয়ে খারাপ না তবে এই না যে বিশ্বের মধ্যে তারাই সেরা।'
বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে তিন ম্যাচ শেষে ১-১ এ সমতা রয়েছে। সিরিজ নির্ধারণী শেষ ম্যাচ গ্যাবায় ইতোমধ্যেই ১৫ জানুয়ারিতে শুরু হয়েছে।