ক্যাচ মিস মানে ম্যাচ মিস-এই প্রবাদ বাক্য বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সত্য হয়। নিউজিল্যান্ড সফরে বাংলাদেশ দল একাধিক ক্যাচ মিসের মহড়ায় সিরিজের সবগুলো ম্যাচই হেরেছিল। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই টেস্টেও নিয়মিত ক্যাচ মিস হতে দেখা গেছে ফিল্ডারদের। বিশেষ করে তাসকিনের বলে শান্তর দুটি ক্যাচ এবং আবু জায়েদের বলে তাইজুলের একটি ক্যাচ মিসতো বেশ দৃষ্টিকটুই ছিলো। এই তিন ক্যাচ মিসের সুযোগ লঙ্কান ব্যাটসম্যানরা রানের পাহাড়ে চড়ছে। দলের প্রতিনিধি হয়ে আসা তাইজুল ইসলাম অবশ্য ক্যাচ মিসকে খেলার অংশই বলছেন।
দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনে তাসকিনের বলে দিমুথ করুণারত্নের ক্যাচ ফেলে নতুন ‘জীবন’ দিয়েছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ১১৮ রান করেছেন। শুক্রবার ফেল তাসকিনকে হতাশায় পোড়ালেন সেই শান্ত। ঠিক একইভাবে রমেশ মেন্ডিসের ক্যাচ স্লিপে ধরতে ব্যর্থ হন শান্ত। সুযোগ কাজে লাগিয়ে মেন্ডিস দিন শেষে ২২ রানে অপরাজিত।তার আগে অবশ্য তাইজুলও পয়েন্টে ক্যাচ ছেড়েছেন। ১৮ রানে পয়েন্টে ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন পাঠুম নিসঙ্কা। কিন্তু সেটি ধরতে ব্যর্থ হন তাইজুল। সুযোগটা কাজে লাগিয়ে আরও ১২ রান যোগ করে আউট হন নিসঙ্কা।
নিজের ক্যাচ মিস নিয়ে বলতে গিয়ে তাইজুল ক্যাচ মিসকে ম্যাচের অংশ হিসেবে আখ্যায়িত করলেন, ‘সচরাচর টেস্ট ম্যাচে আমি পয়েন্টেই ফিল্ডিং করে থাকি। পয়েন্টে অথবা শর্ট গালি, সিচুয়েশনের ওপর ডিপেন্ড করে। তো ক্যাচ মিস খেলার একটা অংশ। কিন্তু ওই সময়ে ক্যাচ মিসটা হয়ত আমাদের টিমকে একটু ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছে, হয়ত ওই ক্যাচটা ধরতে পারলে আরও অনেক ভালো পজিশনে থাকতাম। তবে এমন কিছু না, যে পয়েন্টে আমি ফিল্ডিং করি না।’
স্পিনারদের ছাপিয়ে বাংলাদেশের পেসারদের আধিপত্য খুব একটা দেখা যায় না। শ্রীলঙ্কায় এসে তাসকিন-শরিফুলদের কাছে ম্লান হয়ে গেছে স্পিনারদের আধিপত্য। লঙ্কান হারানো ৬ উইকেটের চারটিই পেসারদের দখলে। পেসারদের পারফরম্যান্স, স্পিনারদের ভালো করতে সহায়তা করছে বলে জানালেন বাঁহাতি এই স্পিনার, ‘ ওভারল চিন্তা করলে সবাই ভালো বোলিং করছে, রান চেক বোলিং করছে। আর তাসকিন অনেক বেশি ভালো বোলিং করেছে, যেটার জন্য আসলে আমাদের স্পিনারদের রান চেক করা সহজ হয়েছে।’