ঘরোয়া-আন্তর্জাতিক মিলিয়ে ১৫ বছরের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে একবারই বল হাতে পাঁচ উইকেট পেয়েছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপেই মাশরাফির পকেটে গেছে পাঁচ উইকেট। এ আসরেই মাশরাফির শোকেসে উঠল পঞ্চম টি-টোয়েন্টি শিরোপা।
কদিন আগেও তার মাঠে নামা নিয়ে ছিল ঘোর অনিশ্চয়তা। করোনা মহামারিতে ছিলেন বিপর্যস্ত। রাজনৈতিক ব্যস্ততায় ছিল না দম ফেলানোর ফুরসত। মাঠে নামার সব পথগুলোতে যেন পড়ছিল দাড়ি। তবুও জেদ ছিল। শুরু করলেন একক অনুশীলন।সকল বাধা পেরিয়ে ২২ গজে ফেরেন মাশরাফি। চার দলের লটারিতে তাকে পায় খুলনা। প্রথম দুই ম্যাচে দুই উইকেট নিয়ে ছিলেন মিতব্যয়ী। লাইন ও লেন্থ ঠিক রাখার চ্যালেঞ্জ ছিল বেশি। মাশরাফি সেটি করেছিলেন সিদ্ধহস্তে। সেই ধারাবাহিকতায় পেয়েছিলেন ৫ উইকেট। তার টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে যা সর্বোচ্চ। বিগ ফাইনালে উইকেট না পেলেও দলের জয়ে রেখেছেন অবদান। চট্টগ্রামের ব্যাটসম্যানদের ঝড় তুলতে দেননি ডানহাতি পেসার।
ঘরোয়া ক্রিকেটে শিরোপা ভাগ্য ববাবরই মাশরাফির পাশে থাকে। এজন্যই এখন পর্যন্ত পাঁচটি শিরোপা হাতে উঠেছে মাশরাফির। বিপিএলের সাত আসরের চারটি শিরোপা পেয়েছেন তিনি। ২০১২ ও ২০১৩ বিপিএলে মাশরাফির নেতৃত্বে শিরোপা জিতে নেয় ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্স। ২০১৫ সালে নানা বিতর্ক পেছনে ফেলে বিপিএল শুরু হলে মাশরাফির হাতে উঠে শিরোপা। সেবার চ্যাম্পিয়ন করিয়েছিলেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে। ২০১৭ সালে তার নেতৃত্বে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল রংপুর রাইডার্স। এবার জিতলেন বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ।
সবমিলিয়ে টি-টোয়েন্টিতে পাঁচ শিরোপা জিতেছেন মাশরাফি। বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে যা সর্বোচ্চ। গতকাল ফাইনাল শেষে ধারাভাষ্যকার এড রেইন্সফোর্ড তাকে জিজ্ঞেস করেন, ‘আমি জানি তুমি কয়টি টি-টোয়েন্টি ফাইনাল জিতেছো। তুমি কি জানো? জবাবে মাশরাফি হেসে হেসে বলেন, ‘চারটা বিপিএল এবং এবারের এটি। পাঁচটি।’ পাঁচ শিরোপার জন্য মাশরাফি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করলেন সৃষ্টিকর্তার, ‘সর্বশক্তিমান আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা। এরকম হয়ে যায়, ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলতে নামলে চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাই। বিশেষ করে ফাইনাল খেললে জিতে যাই। স্রষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞতা আবারও।’