শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই টেস্ট সিরিজের জন্য কাগিসো রাবাদাকে ছাড়াই ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ড (সিএসএ)। মূলত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলার সময় কুঁচকির ইনজুরিতে পড়েছিলেন তিনি। যে কারণে তাঁকে ছাড়াই দল ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছিল সিএসএর নির্বাচকরা।
বক্সিং ডে টেস্টে খেলা না হলেও সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে রাবাদাকে দলে অন্তভূক্ত করেছে তাঁরা। কুঁচকির চোট থেকে দ্রুতই সেরে ওঠায় সিরিজের শেষ টেস্ট ম্যাচটি খেলতে দেখা যাবে এই গতি তারকাকে। সোমবার প্রথম টেস্টের তৃতীয় দিনে দ্বিতীয় সেশন চলাকালীন কোভিড-১৯ এর বিধিনিষেধ পালন করে ইতিমধ্যেই দলের জৈব সুরক্ষা বলয়ে প্রবেশ করেছেন তিনি।
রাবাদার অন্তর্ভুক্তি মানেই নতুন বছরের টেস্টের আগে দক্ষিণ আফ্রিকার পেস ভান্ডার আরো শক্তিশালী হয়ে উঠলো। এমনিতেই প্রথম ম্যাচে লুঙ্গি এনগিডি, এনরিক নরকিয়া এবং লুথো সিমপলার গতি সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে শ্রীলঙ্কান ব্যাটসম্যানদের।
সেক্ষেত্রে রাবাদাকে দলে ফেরানোয় দ্বিতীয় টেস্টে কোনো স্পিনার ছাড়াই শক্তিশালী পেস আক্রমণ নিয়ে মাঠে নামতে পারে দক্ষিণ আফ্রিকা। এমনিতেই শ্রীলঙ্কার গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটসম্যান ধনঞ্জায়া ডি সিলভা পুরো সিরিজ থেকেই ছিটকে গেছেন। এমনকি ইনজুরির আগে ৭৯ রানের ঝকঝকে একটি ইনিংসও খেলেছিলেন তিনি।
এর আগেও কুঁচকির ইনজুরিতে পড়েছিলেন রাবাদা। যে কারণে ভারত সফরের দক্ষিণ আফ্রিকা দলেও ছিলেন না তিনি। তবে ইনজুরি কাটিয়ে ও ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সীমিত ওভারের সিরিজে স্কোয়াডে ফিরেছিলেন।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলার সময় আবারো কুঁচকির ইনজুরিতে পড়েছিলেন এই গতি তারকা। যে কারণে শেষ ম্যাচে খেলা হয়নি তাঁর। সেই সঙ্গে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ থেকেও ছিটকে গিয়েছিলেন তিনি। যদিও করোনার কারণে সিরিজটি স্থগিত হয়েছিল।