বিশ্বজুড়ে আধিপত্য বিস্তার করা ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে আর কোনোদিন দেখা যাবে না পেস বোলিংয়ের অন্যতম তারকা লাসিথ মালিঙ্গাকে। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন শ্রীলঙ্কার ডানহাতি পেসার।
বুধবার ধরে রাখা ও ছেড়ে দেওয়া খেলোয়াড়দের তালিকা প্রকাশ করে মালিঙ্গার সাবেক আইপিএল ক্লাব মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। ছেড়ে দেওয়া সাত খেলোয়াড়ের মধ্যে এই লঙ্কান পেসারও ছিলেন। কয়েক ঘণ্টা পর ক্লাব মালিক আকাশ আম্বানি নিশ্চিত করেন, মালিঙ্গা বিদায় বলেছেন ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটকে। অবশ্য এই ভাবনার কথা এ মাসের শুরুতেই মুম্বাইয়ের টিম ম্যানেজমেন্টকে জানান তিনি।মুম্বাইয়ের অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টে আম্বানি লিখেছেন, ’১২ বছর ধরে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের প্রাণ ছিলেন লাসিথ মালিঙ্গা। আমরা তার সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানাই। যদি আরও পাঁচ বছরের জন্য আমাদের বোলিং আক্রমণে তাকে পেতাম, তাহলে ভালো লাগতো।’
২০০৯ সালে আইপিএলের দ্বিতীয় আসরে মুম্বাইয়ে যোগ দেন মালিঙ্গা। এর মধ্যে কেবল ২০১৮ ও ২০২০ সালের আসরে খেলেননি। মুম্বাইয়ের হয়ে তিনি শেষ ম্যাচ খেলেছেন ২০১৯ সালের ফাইনালে, দলের চতুর্থ শিরোপা জয়ের পথে ম্যাচ জয়ী শেষ ওভারটি করেছিলেন। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে গত বছর খেলেননি মালিঙ্গা।১২২ ম্যাচ খেলে ১৭০ উইকেট নিয়ে আইপিএল ইতিহাসের শীর্ষ উইকেটশিকারি এই ডানহাতি পেসার। বিশ্বজুড়ে অন্য টি-টোয়েন্টি লিগও খেলেছেন মালিঙ্গা। ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে গায়ানা আমাজন ওয়ারিয়র্স, জ্যামাইকা তাল্লাওয়াস ও সেন্ট লুসিয়া জুকস, বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে খুলনা টাইটান্স ও রংপুর রাইডার্স এবং বিগ ব্যাশ লিগে মেলবোর্ন স্টার্সের হয়ে বল করেছেন। টি-টোয়েন্টিতে আন্তর্জাতিক ও ক্লাব ২৯৫ ম্যাচ খেলে ৩৯০ উইকেট তার। সর্বাধিক টি-টোয়েন্টি উইকেটশিকারির তালিকায় তার উপরে কেবল ওয়েস্ট ইন্ডিজের ডোয়াইন ব্রাভো (৫১২)।
৩৭ বছর বয়সী এই পেসার সর্বশেষ ম্যাচ খেলেছেন গত বছরের মার্চে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার টি-টোয়েন্টি ম্যাচে। ২০১৯ সালের আগস্টে ভারতের বিপক্ষে খেলেন শেষ আন্তর্জাতিক ওয়ানডে। করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা ও কঠোর বিধির কথা চিন্তা করে এবং পরিবারের সঙ্গে আলাপ করে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নেন মালিঙ্গা।বিদায়ের ঘোষণা দিয়ে এই লঙ্কান পেসার বলেছেন, ‘পরিবারের সঙ্গে আলোচনার পর আমি মনে করেছি সব ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার এখনই সঠিক সময়। মহামারি পরিস্থিতি ও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার কারণে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে পুরোপুরি অংশ নেওয়া আমার জন্য কঠিন হয়ে পড়বে। তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক। আসন্ন নিলামের প্রস্তুতি নেওয়ার আগেই আমি মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে একই কথা বলেছিলাম। তারা আমাকে সমর্থন করেছে ও বুঝেছে। চমৎকার ১২টি বছর পার করার জন্য আম্বানি পরিবারকে, মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ফ্র্যাঞ্চাইজির প্রত্যেককে ও সব ভক্তদের ধন্যবাদ জানাই।’