My Sports App Download
500 MB Free on Subscription


বোলারদের কৃতিত্ব দিলেন লিটন

বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম যেন রাজত্ব করতে এসেছেন। পর পর দুটি ম্যাচে ঢাকা ও খুলনাকে একশোর নিচে অলআউট হলে অনায়াসেই ম্যাচ জিতেছে মিঠুনের নেতৃত্বে খেলা দলটি। প্রথম ম্যাচে বেক্সিমকো ঢাকাকে ৮৮ রানে অলআউটের পর জেমকন খুলনাকে ৮৬ রানে অলআউট করেছে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম। এমন সাফল্যের পেছনে বোলারদের কৃতিত্ব দিলেন ওপেনার লিটন দাস।

শনিবার ম্যাচ শেষে সংবাদ মাধ্যমকে লিটন বলেছেন, ‘আমার মনে হয় দুইটা ম্যাচেই পরিকল্পনা ভালো ভাবে কাজে লাগাতে পেরেছি। ধন্যবাদ বোলারদের। আমার কাছে খুবই ভালো লেগছে এই জিনিসটা যে, যে যখন বল করছে খুবই দায়িত্ব নিয়ে বল করছে। আর মুভমেন্টগুলো খুবই ভালো ছিল। কে, কখন, কোথায় বল করবে। ওভারঅল টিম ওয়ার্ক ভালো ছিল। খুবই ভালো ফিল্ডিং। অল ওভার টিম গেম। এমন বোলিংয়ের পর আমাদের সহজে ব্যাটিং করা সম্ভব হয়েছে।’ 

দুটি ম্যাচেই শুরুতে বোলিং করেছেন অফস্পিনার নাহিদুল। শুরুতে প্রতিপক্ষকে আটকে রাখতে কার্যকরী ভূমিকা রেখেছেন তিনি। লিটনের মুখে তাই নাহিদুলের প্রশংসা, ‘নাহিদ ভাইয়ের যে রোলটা প্রথমের দিকে, পাওয়ার প্লেতে ওটা মনে হয় সে সেটা সম্পূর্ণ এক্সিকিউট করেছে। এবং মুস্তাফিজের যে রোলটা ছিল, সেটা মুস্তাফিজ এক্সিকিউট করেছে দারুন ভাবে। এছাড়া মাঝের দিকে শরিফুল, মোসাদ্দক, সৌম্য যে ওভারগুলো করেছে, সবেমিলে ভালো বোলিং ছিল।’

দুটি জয়ে মানসিকতায় অনেকখানি এগিয়ে থাকা যাবে উল্লেখ্য করে লিটন বলেছেন, ‘এটাতো অনেক ভালো দিক যে আমরা দুটি ম্যাচই জিতেছি। টি-টোয়েন্টি আসলেই এমনই, জয়ের মুডে থাকলেই খেলার ধরণটা অন্যরকম থাকে। আমরা যদি দুইটা পর পর হেরে যেতাম তো আমার মাইন্ড সেটআপ হয়তো একটু ব্যাকফুটে থাকতো। ’

ঢাকার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ৩৪ রানের ইনিংস খেলা লিটন খুলনার বিপক্ষে ৫৩ রান করেছেন। দুই ম্যাচেই সৌম্যকে সঙ্গে নিয়ে দারুন জুটি করে দলের জয়টাকে সহজ করে দিয়েছেন লিটন। দুইজনের রসায়ন নিয়ে লিটন বলেছেন, ‘আমার দুজনেই অনেকদিন ধরে খেলা খেলছি। ম্যাচের আবহ সম্পর্কে আমরা কিছুটা বুঝি, লো স্কোরিং ম্যাচে কি আসতে পারে। সুবিধাও ছিল আমাদের দিকে। কারণ, টি-টোয়েন্টি গেমে রানের প্রেশারটা না থাকলে ঠাণ্ডা মাথায় ব্যাটিংটা করা যায়। ’