My Sports App Download
500 MB Free on Subscription


শ্রীলঙ্কায় পা রাখলো ইংল্যান্ড

গত বছরের মার্চে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে শ্রীলঙ্কায় পৌঁছে অনুশীলন শুরু করেছিলো ইংল্যান্ড। কিন্তু সেই সময়ই লঙ্কাদ্বীপে হানা দেয় করোনা ভাইরাস। আর এ কারণেই প্রস্তুতি ম্যাচ চলাকালে সিরিজ স্থগিত করে দেশে ফিরে যায় ইংল্যান্ড। অবশেষে অনেক জল্পনা কল্পনা পেরিয়ে সেই সিরিজটি সম্পন্ন করতে প্রায় ১০ মাস পরে আবারো দ্বীপরাষ্ট্রটিতে পা রেখেছে জো রুট বাহিনী।

মার্চের সফর যখন স্থগিত হয়েছিলো শ্রীলঙ্কায় করোনা পজিটিভ রোগির সংখ্যা ছিলো মাত্র ৬ জন। কিন্তু সিরিজটি সম্পন্ন করতে অতিথিরা যখন আবারো ফিরেছেন তখন স্বাগতিক দেশেটিতে প্রায় ৪৪,০০০ আক্রান্ত মানুষের সঙ্গে রয়েছে ২১১ জনের মৃতের তালিকা। 

এসব কিছু বিবেচনা করেই সফরের শুরু থেকেই অতিথিদের জনবিচ্ছিন্ন রাখার সকল ব্যবস্থা নিয়েছে লঙ্কান সরকার। এরই পরিপ্রেক্ষিতে প্রস্তুত করা হয়েছিলো সর্ব দক্ষিণের 'মাত্তালা এয়ারপোর্ট'। যেখানে বাণিজ্যিক ফ্লাইটের চলাচল গত 'মে মাস' থেকেই বন্ধ রয়েছে। ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের একটি বিশেষ ফ্লাইটে করে ইংল্যান্ডের খেলোয়াড় ও কর্মকর্তারা অবতরণ করেন এই এয়ারপোর্টেই। এরপরেই পরীক্ষা নিরীক্ষার ধাপ পেরিয়ে হ্যাম্বানটোটায় হোটেলের জৈব সুরক্ষা বলয়ে প্রবেশ করেন তাঁরা।

এমনকি কঠোর কোয়ারেন্টাইন নীতির কারণেই স্বাগতিক কোন দলের সঙ্গেই প্রস্তুতি ম্যাচ খেলারও সুযোগ পাচ্ছেন না ইংলিশরা। ইতোমধ্যে এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড। নিজেদের মধ্যে ভাগ হয়ে ম্যাচ খেলে প্রস্তুতি সারতে হবে রুট-মঈন আলীদের।

সিরিজের দুইটি ম্যাচই অনুষ্ঠিত হবে ঔপনিবেশিক যুগের দুর্গ বেষ্টিত গল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে। সমুদ্র ধারের এই স্টেডিয়ামে খেলতে পারা বিশেষ কিছু বলে মনে করেন ইংল্যান্ড দলের পরিচালক অ্যাসলি জাইলস। একই সঙ্গে সকল বাঁধা বিপত্তি পেরিয়ে শ্রীলঙ্কাতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফেরা পুরো বিশ্বের ভক্তদের জন্য ব্যাপক উৎসাহের বলেও মত তাঁর।

জাইলস বলেন, 'শ্রীলঙ্কা খুবই সুন্দর একটি দেশ। গলে খেলতে পারা বিশেষ কিছু। এটি বিশ্বের অন্যতম সেরা একটি ভেন্যু। গত ১০ মাস সকলেই অনিশ্চয়তায় সময় কাটিয়েছে। কিন্তু বিশ্বের সকল ক্রিকেট ভক্তের জন্যই শ্রীলঙ্কাতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ফেরা দারুণ উৎসাহব্যাঞ্জক।'

২০১৮ সালের সর্বশেষ সফরের টেস্ট সিরিজে স্বাগতিকদের ধবল ধোলাই করেছিলো ইংলিশরা। সেই সুখস্মৃতি নিয়েই গলে আগামী ১৪ জানুয়ারি দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে প্রথম টেস্টে মাঠে নামবে ইংল্যান্ড। সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট একই ভেন্যুতে শুরু হবে ২২ জানুয়ারিতে।