শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দূর্দান্ত একটি ইনিংস খেলছিলেন মুশফিকুর রহিম। একটু একটু করে এগিয়ে যাচ্ছিলেন সেঞ্চুরির দিকেই। আউট হওয়ার আগে খেলেছেন ৮৭ বলে ৮৪ রানের ইনিংস।
৪৩ রানে লিটন-সাকিবের বিদায়ের পর দলের হাল ধরেন মুশফিক। বড় স্কোরের পথে তামিমকে সঙ্গে নিয়ে তৃতীয় উইকেটে ৫৬ রানের জুটিও গড়েছিলেন। এরপর তামিম-মিঠুনের আউটের পর মাহমুদউল্লাহকে সঙ্গে নিয়ে আরও বড় জুটির দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু নিজের ৮৪ রানের সময় সান্দাকানকে রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে উদানাকে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরলে ১০৮ রানের জুটি ভাঙ্গে।
মুশফিক ৮৭ বলে ৭ চার ও ১ ছক্কায় নিজের ইনিংসটি সাজিয়েছেন। ১৪ ইনিংসের পর মুশফিকের সামনে সুযোগ ছিলো সেঞ্চুরির খড়া কাটানোর। গত বিশ্বকাপ থেকে শ্রীলঙ্কায় গিয়েও সেঞ্চুরি মিস করেছিলেন মুশফিক। বাংলাদেশের সেরা এই উইকেট কিপার ব্যাটসমান সর্বশেষ সেঞ্চুরি করেছেন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। নটিংহামে অনুষ্ঠিত ওই ম্যাচে ১৪৬ বলে ১০২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছিলেন তিনি।
ওয়ানডে ক্যারিয়রের মুশফিকের রান ৬ হাজার ৪২৮। ৭ সেঞ্চুরি ও ৪০ হাফসেঞ্চুরিতে মুশফিক বাংলাদেশের হয়ে তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। সবার উপরে থাকা তামিমের রান ৭ হাজার ৫০৪। অন্যদিকে সাকিবের রান ৬ হাজার ৪৫১। আজ সেঞ্চুরি পেলে সাকিবকে হটিয়ে দ্বিতীয় স্থানে চলে যেতে পারতেন মুশফিক।