ফাইনালের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে বরিশালের চাই ১৫১ রান। বেক্সিমকো ঢাকা আগে ব্যাটিং করে মুশফিক-ইয়াসির-আকবের ব্যাটিংয়ে ১৫০ রান সংগ্রহ করে।
মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে ঢাকা। ২২ রানে টপ অর্ডার তিন ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে বিপদে পড়ে ঢাকা। মুশফিক-ইয়াসিরের ৫০ রানের জুটিতে প্রাথমিক বিপর্য সামাল দেয় ঢাকা। অধিনায়ক মুশফিক ৩০ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় ৪৩ রানের ইংনিস খেলে বিদায় নেন। মুশফিকের বিদায়ের পর আকবরকে সঙ্গে নিয়ে মিরপুরের ২২ গজে ঝড় তোলে ইয়াসির আলী। ৯ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ২১ রানের ইনিংস খেলে আউট হন।
পুরো টুর্নামেন্টে দূর্দান্ত ব্যাটিং করা ইয়াসির আলি আজ পেয়েছেন দ্বিতীয় হাফসেঞ্চুরির দেখা। ৪৩ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৫৪ রান আসে দীর্ঘদেহী এই ব্যাটসম্যানের ব্যাট থেকে। কামরুল ইসলামের শেষ ওভারটি ঢাকার ব্যাটসম্যানরা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়, ফলে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ঢাকার স্কোর হয় ১৫০ রানের।
বরিশালের বোলারদের মধ্যে মেহেদী হাসান ২৩ রানে দুই উইকেট নিয়ে দলের সেরা বোলার। কামরুল ইসলাম ৪০ রানে দুটি উইকেট নিয়েছেন। এছাড়া তাসকিন ও শুভ নিয়েছেন একটি করে উইকেট।
এলিমেনেটর রাউন্ডের এই ম্যাচে জয়ী দল ফাইনালে যাওয়ার পথে আরেকটি সুযোগ পাবেন। মঙ্গলবার তারা দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে খেলবেন বিকালে অনুষ্ঠিতব্য জেমকন খুলনা ও গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের মধ্যকার ম্যাচের হেরে যাওয়া দলের বিপক্ষে। এই ম্যাচটিতে যারা জিতবেন, তারা সরাসরি ফাইনালের টিকিট পেয়ে যাবেন।