শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে ফিরে যান তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসান। দলের সেরা রান স্কোরাররা দ্রুত ফিরে যাওয়ায় নিজেদের প্রমাণের ভালো সুযোগ ছিল মোসাদ্দেক হোসেন-লিটন দাসদের জন্য। তারা সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি। হতাশ করেছেন তরুণ ক্রিকেটাররা।
লিটন ভুগছেন রান খরায়। সর্বশেষ পাঁচ ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ ২৫ রান। তার মধ্যে আছে দুটিতে শূন্য। লিটন সম্ভাবনা দেখিয়ে (৪২ বলে ২৫) আউট হন থিতু হয়ে। মোসাদ্দেক ২০১৯ সালের জুলাইয়ের পর এই প্রথম সুযোগ পেলেন ওয়ানডেতে। তিনিও গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আউট হয়ে (১২ বলে ১০) বিপদ বাড়িয়েছেন।প্রথম ম্যাচে দারুণ ক্যামিওতে দলের রান বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। দ্বিতীয় ম্যাচে আর (৯ বলে ১০) পারেননি। সাইফউদ্দিনের রান সংখ্যা (৩০ বলে ১১) হলেও এটা ছিল ভীষণ কার্যকরী। ক্রিজে থাকা মুশফিককে দিয়েছিলেন সহায়তা।
তামিম-সাকিবদের ব্যর্থতার দিনে এ তরুণদের সামনে সুযোগ ছিল বলে মনে করেন দ্বিতীয় ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান মুশফিক। ‘তামিম সাকিব, বাংলাদেশের হয়ে যারা সবসময় রান করে তারা পারেনি। অন্য যারা খেলোয়াড় ছিল লিটন, আফিফ, মোসাদ্দেক; ওদের জন্য সুযোগ ছিল।‘সুযোগ কাজে লাগাতে না পারায় মুশফিক দিয়েছেন পরামর্শও। এ সব মুহূর্তে আরও বিচক্ষণ আরও সিলেক্টিভ হতে বললেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল। মুশফিক বলেন, ‘কিন্তু ওরা (মোসাদ্দেক-লিটনরা) আরেকটু সিলেক্টিভ হলে আরেকটু ভালো ফলাফল করবে। এসব উইকেটে আরেকটু সিলেক্টিভ হতে হবে। কখনো লো রিস্ক, কখন হাই রিস্ক খেলবে এটা নিজেকেও জানতে হবে। আমি আশা করি তারা আরও পরিণত হবে।’
প্রথম ম্যাচের মতো বাংলাদেশকে টেনে নিয়েছেন দলের সিনিয়র সদস্যরাই। মুশফিকের সেঞ্চুরির সঙ্গে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের গুরুত্বপূর্ণ ৪১ রান। মুশফিক-মাহমুদউল্লাহর ৮৭ রানের জুটিতে শুরুর বিপর্যয় কাটিয়ে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়ায়। এর আগের ম্যাচেও তামিম-মাহমুদউল্লাহ-মুশফিকের হাফসেঞ্চুরিতে ভর করে জয়ের ভিত গড়ে। কিন্তু তরুণ ক্রিকেটার দায়িত্ব নেবেন কবে? মুশফিক আশা প্রকাশ করছেন তারা দ্রুত শিখবে। তিনি বলেন, ‘খুবই খুশি হব যদি ওরা খুব তাড়াতাড়ি এখান থেকে শিক্ষা নিতে পারে। নাহলে দেখা যাবে সব চাপ আমাদের ওপর চলে আসে, তখন আসলে কঠিন হয়ে যায়। আমি মনে করি ওরা দ্রুতই অবদান রাখা শুরু করবে। আর সেটা হলে আমরা বিশেষ করে ওয়ানডেতে আরও ভালো দল হবো।‘