My Sports App Download
500 MB Free on Subscription


ক্যান্ডি টেস্ট আত্মবিশ্বাস দিচ্ছে মুমিনুলদের

ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ দিয়ে শুরু হয়েছিল বাংলাদেশের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের যাত্রা। কিন্তু ভারত, পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৫ টেস্টের সবকটিতেই বাজে ভাবে হেরেছে মুমিনুলের দল। এমনটি সদ্যই টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়া আফগানিস্তানে কাছেও হারতে হয়েছে বিশাল ব্যবধানে। এমন অবস্থায় ক্যান্ডি টেস্ট ড্র নিশ্চিত ভাবেই মুমিনুলদের স্বস্তি দিচ্ছে। ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনেও মুমিনুল সেটাই জানালেন।

ক্যান্ডির ব্যাটিং বান্ধব উইকেটে ব্যাটসম্যানদের দৃঢ়তায় প্রথম টেস্টটি ড্র হয়। টানা হারের বৃত্তে থাকা বাংলাদেশ দলকে এই ড্রটি আত্মবিশ্বাস ফেলাবে বলে মনে করেন মুমিনুল। ম্যাচ শেষে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক জানিয়েছেন, ‘আমরা গত হোম সিরিজ-অ্যাওয়ে সিরিজে উল্লেখ্য করার মতো কোন রেজাল্ট করতে পারিনি। একটা হোম সিরিজ হারার পর, বিদেশে টেস্ট ড্র করতে পারা আমার কাছে মনে হয় ভাল একটা দিক।’একই ভেন্যুতে ২৯ তারিখে শুরু হওয়া দ্বিতীয় টেস্টে এই ড্র আত্মবিশ্বাস দেবে বলে মনে করেন মুমিনুল, ‘সেকেন্ডে টেস্টে অবশ্যই সবার ভেতরে আত্মবিশ্বাস দেবে। সবাই দলগতভাবে খেলেছে। বাংলাদেশ যখনই দলগতভাবে খেলতে পারে তখনই ভাল অবস্থায় থাকে।’

শ্রীলঙ্কায় দীর্ঘদিন পর টপ অর্ডার একসঙ্গে ক্লিক করেছে। প্রথম ইনিংসে ৭ উইকেট হারিয়ে ৫৪১ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ইনিংসেও ২ উইকেট হারিয়ে ১০০ রান তুলতেই ম্যাচটি ড্রতে নিষ্পত্তি হয়। প্রথম টেস্টে ব্যাটিং ভালো হওয়ার পরও মুমিনুলের মনোযোগটা এখানেই., ‘উন্নতির তো শেষ নেই। আমার কাছে মনে হয় তিনটা বিভাগেই মনে হয় উন্নতির জায়গা আছে। নির্দিষ্ট করে বললে ব্যাটিংও উন্নতি করতে হবে। স্পিনাররাও ভাল করেছে। হয়ত পেস বোলিং আরও উন্নতি করতে হবে নতুন বলে। আমার কাছে মনে হয় ব্যাটিং আমাদের মূল শক্তি। কাজেই ব্যাটিং উন্নতি করতে হবে।’ 

টেস্ট ক্যারিয়ারের ৮ বছর পর বিদেশের মাটিতে প্রথম সেঞ্চুরি পেয়েছেন মুমিনুল। নিজের এই অর্জন নিয়ে মুমিনুল বলেছেন, ‘আমি যখনই বাংলাদেশ দলে খেলি, তখন থেকেই আমি চেষ্টা করি দলের হয়ে অবদান রাখার। বিদেশে এসে ওইভাবে হয়ত বড় করে অবদান রাখা হয়নি। আল্লাহর রহমতে এবার কিছুটা অবদান রাখতে পেরে খুশি। এমনিতেই অধিনায়ক হিসেবে আমার অবদান রাখাটা জরুরি। ’