গত সপ্তাহেই লা লিগায় আলাভেসের বিরুদ্ধে ৫-১ গোলে জয় রাতারাতি পাল্টে দিয়েছে রোনাল্ড কোমানের শরীরীভাষা। আজ, মঙ্গলবার ঘরের মাঠে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলো পর্বে প্যারিস সাঁ জারমাঁর বিরুদ্ধে খেলতে নামার আগে রীতিমতো হুঙ্কার দিয়ে উঠলেন বার্সেলোনা ম্যানেজার। স্পষ্ট করে দিলেন, এই মুহূর্তে তাঁর দলের মতো সেরা ছন্দে কোনও ক্লাব নেই।
প্রথম লেগে ক্যাম্প নুতে খেলতে নামার আগে পিএসজি ম্যানেজার মৌরিসিয়ো পোচেত্তিনোর সবচেয়ে বড় মাথাব্যথা নেমার দা সিলভা স্যান্টোস জুনিয়রের না থাকা। বিশেষজ্ঞমহলের অনেকেই মনে করছেন, ব্রাজিলীয় তারকার না থাকা নিঃসন্দেহে বাড়তি সুবিধা দেবে লিয়োনেল মেসিদের।
কিন্তু সেই ব্যাখ্যার সঙ্গে একমত নন কোমান। সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে তাঁর মন্তব্য, “জানি না, কী সুবিধা হতে পারে। তবে এটা জোর দিয়ে বলব, এই বার্সেলোনা দল ক্রমশ পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে এগোতে এগোতে এখন পুরোদস্তুর তৈরি হয়ে গিয়েছে। আমি তো এই মুহূর্তে এমন কোনও ক্লাবকে দেখতেই পাচ্ছি না, যারা বার্সেলোনার চেয়ে ভাল ফুটবল উপহার দিতে পারে।” যোগ করেন, “আমিও একান্ত দরকার না পড়লে এই দলে বদলের খুব একটা পক্ষপাতী নই। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মতো বড় মঞ্চে তরুণদের চেয়ে অভিজ্ঞদের উপস্থিতি অনেক বেশি প্রয়োজনীয়।”
স্পেনীয় সংবাদমাধ্যমের খবর, পিএসজি ম্যাচে ফেরানো হতে পারে জেরার পিকে, সের্জি রবের্তো, ফিলিপে কুতিনহোর মতো অভিজ্ঞদের।যার ব্যাখ্যা দিয়ে কোমান বলেছেন, “পুরো ৯০ মিনিট ভাল খেলতে হলে দরকার শারীরিক সুস্থতাও। তাই আমাকে এমন ফুটবলার এই ম্যাচের জন্য বেছে নিতে হবে, যারা জয় নিশ্চিত করার সঙ্গে শারীরিক ধকলও সামলে উঠতে পারে। আমরা এ বার প্রমাণ করতে মরিয়া, ইউরোপীয় ক্লাব ফুটবলে বার্সেলোনাই সেরা।”
চোটের কারণে নেমার নেই। ফলে ভক্তকূল মেসির সঙ্গে এ বার দ্বৈরথে প্রতিপক্ষ হিসেবে তুলে ধরেছেন পিএসজি তারকা কিলিয়ান এমবাপেকে। যদিও কোমান বলছেন, “এটুকু বলতে পারি, মঙ্গলবারের ম্যাচ মেসি বনাম এমবাপের লড়াই নয়। ম্যাচটা দুই দলের, যে দুটো শিবিরেই বিশ্বের বেশ কয়েকজন সেরা তারকা রয়েছে।” যোগ করেছেন, “মেসি যেমন বার্সার সেরা অস্ত্র, তেমনই পিএসজি তাকিয়ে থাকবে এমবাপের দিকে। আমি তাই তুলনার পথ থেকে সরে এসে সেরা ফুটবলারদের সুন্দর ফুটবল উপভোগ করতে চাই। এবং এটাও বলতেই হবে, এই ম্যাচে সেরা ফর্মে দেখতে চাই লিয়োকে।”