১৪৮ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাটিং নেমেছিল বাংলাদেশ দল। কিন্তু ১.৩ ওভার ব্যাটিং করার পর ব্যাটসম্যানরা জানতে পারলেন, তাদের লক্ষ্য ১৪০ নয়, ১৭০ রান। লক্ষ্য নিয়ে এমন ধোঁয়াশার কারনে পরিকল্পনায় সমম্যা হয়েছে বলে মনে করেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। ম্যাচ শেষে পুরষ্কার বিতরণী মঞ্চে মাহমুদউল্লাহ এসব কথা বলেন।
নতুন লক্ষ্যমাত্রা সেট হওয়ার আগে ১.৩ ওভারে ১২ রান স্কোরবোর্ডে তোলে বাংলাদেশ দল। এরপর অবশ্য নতুন লক্ষ্য জেনে তাণ্ডব শুরু করে সৌম্য-নাঈম। বিষয়টি উল্লেখ্য করে মাহমুদউল্লাহ বলেছেন, ‘বৃষ্টি আইনের আমাদের লক্ষ্য কত হবে, সেটি নিয়ে ধোঁয়াশা ছিল, আমরা জানতাম না টার্গেট আসলে কতো। তবে খেলায় এসব হতে পারে। প্রথম ৫ ওভার আমরা সঠিক পথেই ছিলাম। শেষ পর্যন্ত সেটি ধরে রাখতে পারিনি।’
লিটন ফেরার পর ঝড়ো ভঙ্গিতে খেলতে থাকেন সৌম্য সরকার। তাতে পাওয়ার প্লেতে ৬ ওভারে আসে ৫৬ রানে। এর পর তো তার বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে মনে হচ্ছিল জয় নিয়েই মাঠ ছাড়বে বাংলাদেশ। কেননা ততোক্ষণে ৫টি চার ৩ ছক্কায় ২৭ বলে তুলে ফেলেছিলেন ৫১ রান। কিন্তু ১০.১ ওভারে সৌম্যকে অসাধারণ ক্যাচে মিলনের তালুবন্দি করে সাজঘরে ফেরান টিম সাউদি।
সৌম্য ও নাঈমের প্রশংসা করে মাহমুদউল্লাহ বলেছেন, ‘সৌম্য ও নাঈম ভালো ব্যাটিং করেছে। এরপর পাওয়া সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারলে, আমরা জিততে পারতাম। তাসকিন দূর্দান্ত এক ক্যাচ ধরেছে, তার এই ক্যাচটি আমাদের আত্মবিশ্বাস এনে দিয়েছিল। টি-টোয়েন্টিতে আপনি মাঝেমাঝে ভালো শুরু পাবেন, আবার কখনো সেটি পাবেন না। কিন্তু ব্যাটিং এবং বোলিংয়ে শেষটা আপনাকে ভালো করতেই হবে।’