শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের আগে নিজেদের মধ্যে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলছে বাংলাদেশ দল। বিকেএসপিতে মাহমুদউল্লাহর সবুজ দল আগে ব্যাটিং করে ৪৫ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে করেছে ২৮৪ রান। জবাবে ৪ ওভার বাকি থাকতেই ৫ উইকেট হারিয়ে তামিম ইকবালের লাল দল জয়ের দেখা পায়।
তবে ম্যাচটিতে জয়-পরাজয় ছাপিয়ে মূল উদ্দেশ্য ছিলো ক্রিকেটারদের প্রস্তুতি। দুই দলের লড়াইয়ে ব্যাটসম্যানদের প্রস্তুতিটা যথেস্ট ভালোই বলা চলে, সেই তুলনায় বোলারদের প্রস্তুতিতে কিছুটা ঘাটতি থেকেই যাচ্ছে। ২৮৪ রানের জবাবে খেলতে নেমে অধিনায়ক তামিম ৮০ রানের দূর্দান্ত এক ইনিংস খেলেছেন। ৫৮ বলে ৭ চার ও ৪ ছক্কায় তামিম নিজের ইনিংসটি সাজিয়েছেন।
তামিম ছাড়াও উইকেট কিপার ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিমের ব্যাট থেকে এসেছে ৬৪ রানের ইনিংস। ৫৫ বলে ৬ চার ও ২ ছক্কায় মুশফিক এই রান করে স্বেচ্ছায় অবসরে যান। তবে গত ছয় ওয়ানডে ধরে ব্যর্থ লিটন দাস আজও নিজের ইনিংসটি বড় করতে পারেননি। ১৬ বলে ১৫ রান করে সাকিবের শিকার হয়েছেন এই ব্যাটসম্যান।
অন্যদিকে ওয়ানডে সিরিজ থেকে বাদ পড়া ইমরুল কায়েস ৩৭ বলে ৩৩ রান করে আউট হয়েছেন। বাদ পড়া শান্তর ব্যাটেও রান ছিলো না। খেলেছেন ৯ রানের ইনিংস। আফিফ ২৮ রান করে বিপ্লবের শিকার হওয়ার পর ২৪ রান করে স্বেচ্ছায় সাজঘরে ফেরেন মেহেদী হাসান। এছাড়া ২৬ রানে অপরাজিত থাকেন মোসাদ্দেক হোসেন।
২০ বলে ২৮ রান করা সাকিব বল হাতে একটি উইকেট শিকার করেছেন। ৬ ওভারে ৪৫ রান খরচায় তুলে নিয়েছেন লিটনের উইকেটটি। মাহমুদউল্লাহ হচ্ছেন তার দলের সেরা বোলার। ইনজুরির কারনে গত কয়েক সিরিজ ধরে বোলিং করতে পারছেন না তিনি। হয়তো শ্রীলঙ্কা সিরিজে মাহমুদউল্লাহর থেকে অলরাউন্ডাস পারফরম্যান্স পাওয়া যাবে। বৃহস্পতিবার ২৯ রান খরচায় নিয়েছেন দুটি উইকেট। শ্রীলঙ্কা সফরে টেস্টে সিরিজে দূর্দান্ত বোলিং করা তাসকিন উইকেট শূন্য ছিলেন। এছাড়া তাইজুল ও আমিনুল বিপ্লব একটি করে উইকেট নিয়েছেন।
এর আগে মাহমুদউল্লাহরা ৩ উইকেট হারিয়ে ২৮৪ রান সংগ্রহ করে। ভারত-বাংলাদেশ মিলিয়ে ১৯ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হয়েছে সাকিব ও মোস্তাফিজকে। দীর্ঘবিরতির পর ম্যাচ খেলতে নেমে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি কেউই। ভালো শুরু পেয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি সাকিব। খেলেছেন ২০ বলে ২৮ রানের ইনিংস। অন্যদিকে বল হাতে সাফল্য নেই মোস্তাফিজের।
সাকিবের মতো মিঠুনও সুবিধা করতে পারেননি। করেছেন মাত্র ৩ রান। তারা দুজন সুবিধা করতে না পারলেও সবুজ দলের টপ অর্ডারের অন্যরা আলো ছড়িয়েছেন।সবুজ দলের সবচেয়ে সফল ব্যাটসম্যান আফিফ হোসেন। তরুণ এই ব্যাটসম্যান ৫৪ বলে ৬৪ রানের ইনিংস খেলে স্বেচ্ছায় অবসরে যান। ইনিংসটি সাজান ৭ চার ও ৩ ছক্কায়। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ ৬ চার ও ২ ছক্কায় ৫৪ বলে ৬২ রান করে স্বেচ্ছায় অবসরে যান।
ওপেনার সৌম্য ৭০ বলে ৭ চার ও ৩ ছক্কায় ৬০ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন। আরেক ওপেনার নাঈম শেখ ৪৩ বলে খেলেন ৩৮ রানের ইনিংস। শরিফুল ইসলামের বলে আউট হওয়ার আগে মেহেদী হাসান মিরাজ ১৬ বলে করেন ১৭ রান।তামিমের দলের সবচেয়ে সফল বোলার মেহেদী হাসান। ৯ ওভারে ৪০ রান খরচায় তার শিকার ২ উইকেট। বাকি উইকেটটি নিয়েছেন যুব বিশ্বকাপজয়ী দলের পেসার শরিফুল। মোস্তাফিজ ৭ ওভারে ৪৮ রান দিলেও উইকেট পাননি। সাইফউদ্দিনও ৯ ওভারে ৬৫ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন।