স্বাগতিক বাংলাদেশের বিপক্ষে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে ৩ উইকেটে জয় পেয়েছে সফররত ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল। প্রথম চার দিন পিছিয়ে থাকলেও শেষ দিনে অপরাজিত ডাবল সেঞ্চুরি (২১০ রান) হাকিয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে জয় ছিনিয়ে নিয়েছেন অভিষিক্ত কাইল মায়ার্স।
ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হলেও সিরিজের প্রথম টেস্টে এমন জয় পাওয়ায় নিজদেরকে ‘আত্মবিশ্বাসী দল’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন ক্যারিবীয়দের টেস্ট অধিনায়ক ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট। তিনি বলেন, ‘এখন সবাই প্রমাণ পেয়েছে যে, মানুষ আমাদেরকে যে রকম খর্ব শক্তির দল মনে করে আমরা তা নই।’কোভিড-১৯ শঙ্কায় দলের নিয়মিত একাদশের ১২ জন ক্রিকেটার বাংলাদেশ সফরে আসেনি। যে তালিকায় নিয়মিত টেস্ট অধিনায়ক জেসন হোল্ডার ও ওয়ানডে অধিনায়ক কাইরন পোলার্ডসহ শাই হোপ, এভিন লুইস, সিমরন হেটমায়ারও রয়েছেন। মূল দলের সদস্যদের না পেয়ে তুলনামূলক দুর্বল দল পাঠিয়েছে ক্যারিবীয় বোর্ড।
বাংলাদেশ সফরের শুরুতে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ক্যারিবীয়রা হোয়াইটওয়াশ হলে দলটির গায়ে ‘খর্ব শক্তি’ ট্যাগ আরও শক্তভাবে লেগে যায়। ফলে টেস্ট সিরিজে ক্যারিবীয়রা জয় পেতে পারে এমন চিন্তা কখানো কারো মধ্যে ঠাঁই পায়নি। ২০১৮ সালে বাংলাদেশি স্পিনারদের ছোবলে দুই ম্যাচের সিরিজে স্বাগতিকদের কাছে পরাজিত হয়েছিল পূর্ণশক্তির ওয়েস্ট ইন্ডিজ।ম্যাচে জয় পাওয়ার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক ব্র্যাথওয়েট বলেছেন, ‘এ দলটিকে আমি খর্ব শক্তির বলতে চাই না। দলটিকে নিয়ে আসার সময় আমি খুব আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। ২০১৮ সালে আমরা পরাজিত হয়েছিলাম। যে কারণে এবার ভালো করার প্রত্যয় ছিল আমাদের মধ্যে।’তিনি বলেন, ‘প্রথম দিন থেকেই আমি দলটির উপর আস্থা রেখেছিলাম। এটি শুধুমাত্র নিজেদের উপর আস্থা রেখে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা। আর এর ফল আমরা লাভ করলাম পঞ্চম দিনে এসে।’
হেরে যাওয়া টেস্ট ম্যাচটিতে প্রথম চার দিন দাপট দেখিয়েছে বাংলাদেশ। তবে শেষ ও পঞ্চম দিনে সবকিছু পাল্টে যায়। উইকেট না হারিয়ে উল্টো বাংলাদেশের উপর চাপ সৃষ্টি করেন ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যানরা। ব্র্যাথওয়েট বলেন, ‘বিকেলে (চতুর্থ দিন) শুরুতে তিনটি উইকেট হারিয়ে আমরা কিছুটা ছন্দ হারিয়েছিলাম। তবে পিচ দারুণ সহায়তা করেছে। আমরা জানতাম ম্যাচটি হবে উন্মুক্ত। নিজেদের পরিকল্পনায় আস্থা ছিল। আর বোনার ও মায়ার্স পরিকল্পনায় ছিল একেবারেই অবিচল। যেটি বেশ কার্যকর হয়েছে।’সর্বশেষে ক্যারিবীয় অধিনায়ক বলেন, ‘প্রথম ইনিংসে নিজের ৭৬ রানের সংগ্রহেও আমি খুশি ছিলাম। জার্মেইন ব্ল্যাকউড, মায়ার্স ও জসুয়া ডি সিলভাও ভালো খেলেছে। বোলাররাও এক মুহূর্তের জন্য হাল ছাড়েনি। শ্যানন গাব্রিয়েল, কেমার রোচ এবং স্পিনারদের সবাই ভালো করেছে। ওভার প্রতি তারা তিন রানের মধ্যে প্রতিপক্ষকে আটকে রেখেছে।’