আগ্রাসী ক্রিকেটকে সারা বিশ্বে জনপ্রিয় করে তুলেছিল অস্ট্রেলিয়া। বর্তমান সময়েও যেকোনো দলের আগ্রাসী খেলার ধরনকে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গেই তুলনা করা হয়। অনেকে আবার আগ্রাসী ক্রিকেটারদের সঙ্গে মিল খুঁজে পান অ্যালান বোর্ডার, স্টিভ ওয়াহ, রিকি পন্টিংদের সঙ্গে।
ভারতের বর্তমান অধিনায়ক বিরাট কোহলিও আক্রাসী ক্রিকেটের জন্য বিশ্বব্যপী জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। তাঁর মাঝে অস্ট্রেলিয়ানদের ছায়া দেখতে পান গ্রেগ চ্যাপেল। তাই অস্ট্রেলিয়ান না হলেও এই কিংবদন্তি ক্রিকেটারের কাছে কোহলি তাই অস্ট্রেলিয়ান।
সিডনি মর্নিং হেরাল্ডের সঙ্গে আলাপচারিতায় চ্যাপেল বলেছেন, ‘কোহলি সব সময়ের সেরা বিদেশি, যে কিনা অস্ট্রেলীয়দের মতো। সে নতুন ভারতের প্রতিনিধি। সেরা ক্রিকেটার হিসেবে আর বিশ্বের সবচেয়ে দাপুটে ক্রিকেট দলের অধিনায়ক হিসেবে সে খেলাটাকে আরও ছড়িয়ে দেওয়ার দায়িত্ব বোধ করে।’
ভারতীয় ক্রিকেটারদের মানসিকতাই বদলে দিয়েছিলেন সাবেক অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলি। এরপর মহেন্দ্র সিং ধোনির হাত ধরে নতুন ভারতের নেতৃত্ব কোহলির কাঁধে। তিনিও সেই আক্রমণাত্মক মানসিকতাই ধরে রেখেছেন দলটির। তবে এর পেছনের কৃতিত্ব গাঙ্গুলিকেই দিচ্ছেন চ্যাপেল।
তিনি বলেন, ‘আগের ভারতীয় দল গান্ধীর পন্থা মেনে খেলত। গাঙ্গুলী প্রথম ভারতীয় অধিনায়ক, যিনি ধারায় বদল আনেন। আর বিরাট কোহলি পূর্ণ শক্তি নিয়ে আক্রমণে বিশ্বাসী। প্রতিপক্ষের ওপর দাপট দেখানো ওর পন্থা।’
চ্যাপেল মনে করেন কোহলি যদি টেস্ট ক্রিকেট থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন তবে সারা বিশ্বেই এর প্রভাব পড়বে। তাঁর ভাষ্য, ‘টেস্ট ক্রিকেট ওর কাছে সবচেয়ে সেরা। সে চায় তার দল পৃথিবীর সব প্রান্তে টেস্ট ক্রিকেট দিয়ে সম্মানিত হোক। যদি ভারতের অধিনায়ক টেস্ট ক্রিকেট বিমুখ হয়, তাহলে অনেক ক্রিকেট ব্যবস্থাপক টি-টোয়েন্টির দিকে হেলে পড়বে।’