কলকাতা নাইট রাইডার্সে যোগ দিয়ে ইতোমধ্যেই কোয়ারেনটাইন শেষ করে অনুশীলনেও ফিরেছেন সাকিব আল হাসান। এবার বেশ আলোচনা চলছে সাকিব আল হাসানকে নিয়ে। নিয়মিত একাদশে জায়গার ব্যাপারে কথা তো উঠেছেই সেই সঙ্গে সাকিবকে কলকাতার ব্যাটিং অর্ডারের তিন নম্বরে খেলানোরও কথা বলছেন ক্রিকেট বিশ্লেষক হার্শা ভোগলে। এর আগে সঞ্জয় মাঞ্জেকার বলেছিলেন সুনিল নারিনের বদলে সাকিবকে কলকাতার স্কোয়াডে নিয়মিত করার কথা।
গত দুই আসর ধরে কলকাতা নাইট রাইডার্স প্লে অফে জায়গা করে নিতে পারেনি। নেট রান রেটে পিছিয়ে থেকে দুবারই পঞ্চম স্থানে থেকে টুর্নামেন্ট শেষ করেছে তারা। এ ছাড়া ব্যাটিং পজিশনের তিন নম্বর জায়গাটা বরাবরই বেশ নড়বড়ে কলকাতার। আর তাই তো সাকিবকেই এই পজিশনের জন্য উপযুক্ত মনে করছেন হার্শা।এর পেছনে যথাযুক্ত যুক্তিও দেখিয়েছেন এই ক্রিকেট বিশ্লেষক। হার্শা জানান, ২০১৯ বিশ্বকাপে তিন নম্বর পজিশনে সাকিবের অসাধারণ ব্যাটিং। এ ছাড়া কলকাতার ওপেনিংয়ে তিনি রেখেছেন শুভমান গিল এবং নিতিশ রানাকে। যেহেতু ব্যাট হাতে সুনিল নারিনের পরিসংখ্যান ভালো নয় তাই তাকে একাদশের বাইরেই রেখেছেন তিনি।ক্রিকবাজের একটি ভিডিওতে হার্শা বলেন, 'কলকাতার ব্যাটিং অর্ডারে সাকিব তিন নম্বর পজিশনের জন্য একজন উপযুক্ত ব্যাটসম্যান। ও তিন নম্বরে খেললে চার, পাঁচ এবং ছয় নম্বর পজিশনের ব্যাটসম্যানরা স্বাচ্ছন্দ্যে খেলতে পারবে। তাদের ব্যাটিং অর্ডারটাও তখন সুন্দরভাবে সাজানো যাবে।'তিনি আরও বলেন, 'আপনি যদি ৪ ওভারে ৩১ রান দিয়ে উইকেট শূন্য থাকতে চান সেটাও আপনাকে সাকিব এনে দিতে পারবে। এছাড়া আমি মনে করি সাকিব তিন নম্বর পজিশনের যোগ্য। কারণ ২০১৯ সালে এই তিন নম্বর পজিশনেই সে অসাধারণ একটি বিশ্বকাপ কাটিয়েছে।
তার উপস্থিতি কলকাতার ব্যাটিংকে আরও শক্তিশালী করবে।'সাকিব নাকি নারিন, কে খেলবে কলকাতার সেরা একাদশে? এমন প্রশ্নের জবাবে পরিসংখ্যানের দ্বারস্থ হয়েছেন হার্শা। যেখানে দেখা যাচ্ছে ব্যাট এবং বল উভয় ক্ষেত্রেই নারিন থেকে এগিয়ে সাকিব। আর ব্যাট হাতে নারিনের অফ ফর্মের কারণে সাকিবই কলকাতার সেরা একাদশে প্রথম পছন্দ হার্শার।সাকিব নারিন প্রসঙ্গটিও হার্শা পরিস্কার করেছেন এভাবে, 'সুনিল নারিন মূলত একজন বোলার যে কিনা ব্যাট হাতে শুরুতে উড়ন্ত সূচনা এনে দিতে পারেন। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে নারিনের পরিসংখ্যান দেখুন। ২০১৯ সালের পর থেকে ৭ দশমিক ৮৮ ইকোনমিতে বল করেছিল। তারমানে বেশির ভাগে ম্যাচেই নারিন ৪ ওভারে ৩১ রান দিয়ে উইকেট শূন্য থেকেছিল। ব্যাট হাতে সে কি করেছে? তার স্ট্রাইক রেট ১৫০ এর ওপরে ছিল কিন্তু তার ব্যাটিং গড় মাত্র ১৫। এর মানে সে গত বছর কলকাতাকে বেশি রান দিতে পারেনি। শুধু মাত্র একটি ইনিংসে সে বড় স্কোর করেছিল। যেটাতে সে ৬০ রানের একটি ইনিংস খেলেছিল।'আগামি ৯ এপ্রিল মাঠে গড়াচ্ছে আইপিএলের এবারের আসর। যেখানে সাকিব আল হাসানের কলকাতা নাইট রাইডার্স ১১ এপ্রিল মাঠে নামবে তারই সাবেক দল সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের বিপক্ষে।