৫০ ওভারের ম্যাচে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডে কাছে পাত্তা পায়নি বাংলাদেশ দল। রবিবার থেকে শুরু হওয়া তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ নিয়ে স্বপ্ন দেখালেন মাহমুদউল্লাহ। কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলতে মুখিয়ে মাহমুদউল্লাহর দল। রবিবার হ্যামিল্টনের সেডন পার্কে ম্যাচটি শুরু হবে সকাল সাতটায়। ম্যাচটি সরাসরি সম্প্রচার করবে টি-স্পোর্টস।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে নাকানি-চুবানিই খেয়েছে রাসেল ডোমিঙ্গোর শিষ্যরা। প্রথম ওয়ানডেতে মাত্র ১৩১ রানে অলআউট হওয়ার পর ম্যাচটি হেরেছে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে। দ্বিতীয় ম্যাচে জয়ের স্বপ্নই দেখেছিল সফরকারীরা। কিন্তু বাজে ফিল্ডিংয়ের কারণে সেদিনও আর জেতা হয়নি। এরপর তৃতীয় এবং শেষ ওয়ানডেতেও হেরেছে বড় ব্যবধানেই।
ওয়ানডে সিরিজের হতাশা ভুলে টি-টোয়েন্টি সিরিজে খেলতে নামছে বাংলাদেশ। যদিও পরিসংখ্যান বাংলাদেশের বিপক্ষে। ধুম-ধারাক্কার টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে কিউইদের বিপক্ষে খেলা ৭ ম্যাচের সবই হেরেছে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। শুধু তাই নয়, নিউজিল্যান্ডের মাটিতে এখন পর্যন্ত চার টি-টোয়েন্টির চারটিতেই হার বাংলাদেশের। র্যাং কিংয়েও কিউইদের চেয়ে ৩ ধাপ পিছিয়ে ৮ নম্বরে বাংলাদেশ। তবে ২০ ওভারের খেলায় খাতা কলমের হিসাব-নিকাশ দিয়ে ফলাফল অনুমান করা দায়! বাংলাদেশতো পারবেতো সকল হিসাব-নিবাশ পাল্টে দিতে।
মাহমুদউল্লাহ জানিয়েছেন, ‘ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে আমরা ভালো করতে পারিনি। যদিও আমাদের বোলাররা ভালো পারফর্ম করেছে। কিন্তু কিছু ভুল ফিল্ডিংয়ের কারণে ফলাফল পক্ষে আনতে পারিনি। টি-টোয়েন্টিতে কোনো ধরনের জড়তা ছাড়া ভয়-ডরহীন ক্রিকেট যদি আমরা খেলতে পারি তাহলে ফল আমাদের পক্ষে নিয়ে আসা সম্ভব। আমি বিশ্বাস করি, আমাদের জয়ের ক্ষুধা তীব্র আকারে আছে। আমরা এটার জন্য মুখিয়ে আছি। কাল (রবিবার) আমাদের সেরা ক্রিকেট খেলার চেষ্টা করব’, বলেন মাহমুদুল্লাহ।
টি-টোয়েন্টি সিরিজের আগে তামিম ব্যাক্তিগত কারনে খেলবেন না বলে আগেই জানিয়েছেন। অন্যদিকে ইনজুরির কারনে নেই তরুণ পেসার হাসান মাহমুদও। তামিমের অনুপস্থিতিতে রবিবার মাঠে দেখা যেতে পারে মোহাম্মদ নাঈম শেখকে। আর হাসান মাহমুদ না থাকায় বাঁ-হাতি পেসার শরিফুল ইসলামের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হওয়ার জোড় সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে মোহাম্মদ মিঠুনের জায়গায় মোসাদ্দেক হোসেন অথবা আফিফ হোসেনের একজন খেলতে পারেন।
বাংলাদেশ সম্ভাব্য একাদশ: লিটন কুমার দাস, নাঈম শেখ, সৌম্য সরকার, মুশফিকুর রহিম, আফিফ হোসেন/মোসাদ্দেক হোসেন, মাহমুদউল্লাহ(অধিনায়ক), মেহেদি হাসান, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, রুবেল হোসেন, তাসকিন আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমান।