আগামী ২০২১ সালের অক্টোবরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজিত হওয়ার কথা রয়েছে ভারতে। ক্রিকেট বিশ্ব যখন সেই স্বপ্নে বিভোর দেশটিতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ অনিশ্চয়তায় ফেলেছে আসরটিকে। কিন্তু পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) প্রধান নির্বাহী সমাধান হিসেবে মতামত দিয়েছেন ভারতে করোনা পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে ক্রিকেটের এই বিশ্ব আসরটি স্থানান্তরিত করা যেতে পারে সংযুক্ত আরব আমিরাতে।
করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও ইতোমধ্যে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) সফল আয়োজন করেছিল বোর্ড অফ ক্রিকেট ফর কন্ট্রোল ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই)। উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশটিতে জৈব সুরক্ষা বলয় তৈরী করে কোন ধরণের বিপদ ছাড়াই বিশ্বের বড় বড় সব তারকা খেলে গিয়েছেন। তাই ভারতে বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে আরো শঙ্কা তৈরী হয়েছে।
পিসিবি প্রধান নির্বাহী ওয়াসিম খান বলেন, 'ভারতে ক্রমবর্ধমান করোনা পরিস্থিতির কারনে সেখানে বিশ্বকাপের মত বড় আসর আয়োজন ঝুকিপূর্ণ হতে পারে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের খেলোয়াড় ও কর্মকর্তারা যুক্ত থাকবেন এই আসরে। খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের স্বাস্থ্যঝুকির কথা মাথায় রেখে পুরো আসরটি অন্য কোথাও স্থানান্তরিত করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে সেরা সমাধান হবে অবশ্যই সংযুক্ত আরব আমিরাত।'
বর্তমান সময়ে ভারত-পাকিস্তানের কূটনৈতিক সম্পর্কও খুব একটা ভালো নয়। সেই ২০০৭ সাল থেকে নিজেদের মধ্যে কোন দ্বিপাক্ষীক সিরিজ খেলে না দেশ দুটি। সম্প্রতি ভূরাজনীতিগত কারনে আবারো তাদের সম্পর্ক বেশ চমে উঠেছে। ভারতের পররাষ্ট্রে মন্ত্রনালয় পাকিস্তান দলকে ভিসা দেবেনা বলেও হুমকি দিয়েছিল। যদিও আইসিসির পক্ষ থেকেও জানানো হয়েছিল দুই দেশের রাজনৈতিক বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত বা আদেশ দিতে অপারগ তারা।
এ প্রসঙ্গে ওয়াসিম বলেন,'আমাদের বোর্ড সভাপতি ভারতীয় বোর্ড এর নিকট চিঠি পাঠিয়েছেন। অনুরোধ করেছেন যেন ভূরাজনৈতিক সংকটকে একপাশে রেখে বিশ্ব আসর সফল করতে আমাদের দেশের খেলোয়াড়দের ভিসা প্রদান করা হয়। আমাদের জন্য ভিসার ব্যাপারে তিনি আইসিসি ও বিসিসিআই এর তরফ থেকে লিখিত আশ্বাসপত্র আহ্বান করেছেন।'
২০২০ বিশ্বকাপের সঙ্গে সঙ্গে এশিয়া কাপ স্থগিত হয়ে গিয়েছে। শ্রীলঙ্কা ২০২১ এশিয়া কাপ আয়োজন করতে পারবেনা বলেও জানিয়ে দিয়েছে। কিন্তু ২০২২ এ অনুষ্ঠিতব্য এশিয়া কাপ আয়োজন করতে প্রস্তুত পাকিস্তান বলে জানিয়েছেন তিনি।