নিউজিল্যান্ডে পুরনো ইতিহাস বদলাতে চায় বাংলাদেশ
নিউজিল্যান্ড সফরে গিয়ে কখনোই সাফল্য পায়নি বাংলাদেশ দল। সবমিলিয়ে ১৩ ওয়ানডে ও ৪ টি-টোয়েন্টি খেলা লাল-সবুজ জার্সিধারীদের সংগ্রহে সাফল্য শূন্য। মঙ্গলবার কিউই সফরে দেশ ছাড়ার আগে আশার কথা শুনিয়ে গেছেন ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
বাংলাদেশ দল এর আগে নিউজিল্যান্ড সফরে গিয়েছিল ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে। সবশেষ সফরে ক্রাইস্টচার্চের একটি মসজিদে সন্ত্রাসী হামলার পর সফর স্থগিত করেই ফিরেছিল বাংলাদেশ দল। তবে ওই সফরে তিনটি ওয়ানডেতেই বাজে ভাবে হেরেছিল লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। সবমিলিয়ে পুরনো ইতিহাস পাল্টে দেওয়ার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ দল। মঙ্গলবার বিমানে উঠার আগে সংবাদ মাধ্যমকে তামিম বলেছেন, ‘আমরা সবাই জানি যে নিউজিল্যান্ড কন্ডিশন আমাদের জন্য কঠিন। কিন্তু অসম্ভব কিছুই না। আমরা চেষ্টা করব যে জিনিসটা নিউজিল্যান্ডে কোনোদিন অর্জন করিনি, এবার সেটা অর্জন করতে। আমরা সিরিজে ভালো করতে আশাবাদী।’তামিমের মতো একই কথা বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান সৌম্য সরকারের কণ্ঠেও, ‘অবশ্যই, এবার যেন আমরা সেটা ভাঙ্গতে পারি, জিতে ফিরতে পারি।
’ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে ব্যর্থ হলেও ওয়ানডেতে হোয়াইটওয়াশ করেছে স্বাগতিকরা। ঘরের মাঠে ফলাফল কিউইদের ডেরাতেও বজায় রাখতে চান তরুণ এই ব্যাটসম্যান, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজে ওয়ানডেতে সবাই ভালো করেছে। সেখানেও আমাদের ওয়ানডে সিরিজ আছে। আশা করি ভালো করবো।’বুধবার নিউজিল্যান্ড পৌঁছেই ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে বাংলাদেশকে। এ সময় অনুশীলনের সুযোগ থাকবে না। এরপর কুইন্সটাউনে পাঁচ দিনের ক্যাম্প করবে বাংলাদেশ দল। ২০, ২৩ ও ২৬ মার্চ হবে তিনটি ওয়ানডে; ভেন্যু যথাক্রমে ডানেডিন, ক্রাইস্টচার্চ ও ওয়েলিংটন। ক্রাইস্টচার্চের ম্যাচটি দিবা-রাত্রির হবে।ওয়ানডের পর টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে দুই দল। ম্যাচ তিনটি ২৮, ৩০ মার্চ ও ১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে। নেপিয়ার, অকল্যান্ড ও হ্যামিল্টনে কুড়ি ওভারের সিরিজে লড়বে বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড।