বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের ফাইনালে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছে জেমকন খুলনা। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ হাফসেঞ্চুরি খুলনার সংগ্রহ দাঁড়ায়। শেষ ৫ ওভারের মাহমুদউল্লাহর ঝড়ে খুলনার স্কোরবোর্ডে জমা পড়ে ৪১ রান। টুর্নামেন্টের বেশিরভাগ ম্যাচেই টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় কঠিন পরিস্থিতে পড়তে হয়েছিল খুলনাকে। ফাইনালেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। শুক্রবার গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের বিপক্ষে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫৫ রান সংগ্রহ করে খুলনা। বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের ফাইনাল জিততে চট্টগ্রামকে করতে হবে ১৫৬ রান।
শুক্রবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিং পাওয়া খুলনা শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে। ইনিংসের প্রথম বলে ওপেনার জহুরুল মিডঅফে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন। শূন্য রানে উইকেট হারানো খুলনা পুরো ইনিংস জুড়েই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে। চতুর্থ উইকেটে কেবল আরিফুলকে সঙ্গে নিয়ে মাহমুদউল্লাহ তাদের ইনিংসের সবচেয়ে বড় জুটি গড়ে। তার আগে ইমরুল ৮ বলে ৮ এবং জাকির হাসান ২০ বলে ২৫ রান রান করে আউট হয়েছেন। এরপর আরিফুল ২৩ বলে ২১ রানের ইনিংস খেলে বিদায় নিলে মাহমুদউল্লাহ-আরিফুলের ৪০ রানের জুটি ভাঙ্গে।
১ চার ও ১ ছক্কায় ভালো শুরু পাওয়া শুভাগত হোমও ইনিংসটি বড় করতে পারেনি। শরিফুলের বলে লংঅনে ক্যাচ দিয়ে বিদায়ের আগে ১২ বলে ১৫ রান করেন এই অলরাউন্ডার। এদিকে এক প্রান্ত আগলে রাখা মাহমুদউল্লাহ টুর্নামেন্টের প্রথম হাফসেঞ্চুরি তুলেছেন। শরিফুলকে স্কুপ করে চারের সাহায্যে হাফসেঞ্চুরির কোটা পূর্ণ করেন এই অলরাউন্ডার। তার ব্যাটের উপর ভর করে খুলনা ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫৫ রান তোলে মাহমুদউল্লাহ। ইনিংসের শেষ ওভারে সৌম্যকে ২ চার ও ১ ছক্কায় মাহমুদউল্লাহ তোলের ১৭ রান। নয়তো খুলনার ইনিংস দেড়শোর নিচেই আটকে যেত! মাহমুদউল্লাহ ৪৮ বলে ৮ চার ও ২ ছক্কায় ৭০ রানের অধিনায়কোচিত ইনিংস খেলেন।চট্টগ্রামের বোলারদের মধ্যে নাহিদুল ১৯ রানে দুটি এবং শরিফুল ৩৩ রানে দুটি উইকেট নেন শরিফুল। এছাড়া মোস্তাফিজ ও মোসাদ্দেক একটি করে উইকেট নিয়েছেন।