টেস্ট ক্রিকেটে জিততে হলে একাদশে বোলারদের আধিপত্য যথেস্ট থাকতে হয়। প্রতিপক্ষের ২০ উইকেট তুলে নিতে না পারলে ম্যাচ জেতা অনেকটাই কঠিন। অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ডের মতো দেশগুলো ৫ বোলার নিয়েই তাদের একাদশ সাজায়। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ক্যান্ডি টেস্টে বাংলাদেশ দলও বিশেষজ্ঞ ৫ জন বোলারকে নিয়ে নিজেদের একাদশ সাজিয়েছে। ব্যাটিং-আন্ধব ওমন উইকেটে যা দলে ইতিবাচক প্রভাব রেখেছে।
মুমিনুল জানালেন, ‘আমার মনে হয় সুবিধা হয়েছে (পাঁচ বোলার নিয়ে খেলায়)। আবার হালকা একটু ঝুঁকি ছিল কারণ আমরা কোনসময় ছয়টা ব্যাটসম্যান নিয়ে খেলি না। পাঁচটা বোলার নিয়ে খেলায় কিছুটা লাভ হয়েছে। টেস্টে আসলে এটাই করা উচিত, বড় দলগুলো সব সময় এটাই করে।’
মুমিনুল মনে করেন টেস্ট ক্রিকেটকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে নিয়মিত একাদশে ৫ বোলার খেলাতে হবে, ‘শ্রীলঙ্কার কন্ডিশনে পাঁচটা বোলার প্রয়োজন হতো। টেস্ট ক্রিকেট যদি সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হয়, তাহলে মাঝেমধ্যে পাঁচটা বোলার, ছয়টা ব্যাটসম্যান নিয়ে খেলা উচিত। আর ছয়টা ব্যাটসম্যান নিয়ে খেললে, ব্যাটসম্যানদের বাড়তি দায়িত্ব নিয়ে খেলতে হয়। সবচেয়ে বড় কথা প্রতিপক্ষের ২০ উইকেট নিতে গেলে, ৫ বোলারের বিকল্প নেই।’
ক্যান্ডির মরা উইকেটে দুই দলের বোলারদের জন্যই উইকেট তুলে নেওয়ার কঠিন ছিলো। কোন দলই প্রতিপক্ষকে অলআউট করতে পারেনি। মুমিনুলও জানালেন উইকেট বোলারদের কিছুই ছিলো না, ‘এইউইকেটে বোলারদের জন্য কিছুই ছিলো না। বোলাররা চেষ্টা করেছে। উইকেট ব্যাটিং সহায়ক ছিল। আমার মনে হয় সবাই চেষ্টা করেছে। স্পিনার, পেস বোলার যে যখনই আসছে।’