ওয়ানডে সিরিজের ব্যাটিং ব্যর্থতা ফুটে উঠেছে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ২১১ রানেল লক্ষ্যে খেলতে গিয়ে বাংলাদেশ করেছে ১৪৪। ম্যাচ শেষে মাহমুদউল্লাহ জানালেন বাকি ম্যাচগুলোতে ভালো করতে হলে ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে ক্লিক করা জরুরি।
ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে মাহমুদউল্লাহ বোলারদের প্রশংসা করে বলেছেন, ‘বোলার যথেষ্ট ভাল করেছে। নাসুম অভিষেকে দারুণ করেছে। তবে আবারও ব্যাটিংয়ে নিজেদের সর্বনাশ ডেকে এনেছি আমরা। টানা উইকেট হারালে, বড় স্কোর গড়া সম্ভব নয়। ব্যাটিং ইউনিককে ক্লিক করতে হবে। তবেই আমরা দ্বিতীয় ম্যাচে ফিরে আসতে পারবো।’প্রথম টি-টোয়েন্টি হারলেও এখান থেকে ইতিবাচক দিকগুলো নিচ্ছেন মাহমুদউল্লাহ, ‘একটা ইতিবাচক দিক আমি নিতে চাই, যে ইন্টেন্টটা ছিল, যা দেখতে পাওয়াটা ভালো ছিল। টি-টোয়েন্টিতে ১০০-১২০ রানে অল আউট হতেই পারেন। কিন্তু অন্তত আপনি যদি দেখাতে পারেন যে আপনি জিততে চান, তাহলে আমাদের সুযোগ থাকতেও পারে। আমরা এই ম্যাচে সেটাই চেষ্টা করেছি।’
হাফসেঞ্চুরি থেকে তিন রান দূরে থাকা ডেভন কনওয়ে ডিপ স্কয়ার লেগে ক্যাচ তুলেছিলেন। শরিফুল সেটি ধরলেও, তার পা বাউন্ডারি লাইনে টাচ লাগে। ফলে আউটের বদলে হাফসেঞ্চুরি পান কনওয়ে। শেষ পর্যন্ত ৫২ বলে ৯২ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন কিউই এই ব্যাটসম্যানের। তার আউট নিয়ে মাহমুদউল্লাহর মনে কিছুটা সংশয় থাকলেও আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত নেমে নিয়েছেন তিনি, ‘আমি প্রথমেই শরিফুলকে জিজ্ঞাসা করি যে ছয় নাকি। কিন্তু ও নিশ্চিত ছিল না। তখনই ভেবেছিলাম যে এটি ছয় হতে পারে। পা এবং বাউন্ডারির মধ্যে খুব সামান্য গ্যাপ ছিল। দিনশেষে এটি আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত এবং আমাদের সেটিকে সম্মান করতে হবে।’