My Sports App Download
500 MB Free on Subscription


ইউরো জিতল ইতালি। বড় শিরোপার জন্য অপেক্ষা বাড়ল ইংল্যান্ডের

ইউরো কাপের আগে থেকেই সে দেশের সমর্থকরা গাইতে শুরু করেছিলেন, ‘ইটস কামিং হোম’। অর্থাৎ কাপ ঘরে আসছে। কিন্তু এ বারও শিকে ছিঁড়ল না ইংল্যান্ডের। পেনাল্টি শুট-আউট ফের কাল হল। গোলকিপার জিয়ানলুইগি ডোনারুমার জোড়া সেভে ইটালি জিতল ৩-২ ব্যবধানে। নির্ধারিত সময়ে খেলার ফলাফল ছিল ১-১।

দু’মিনিটের মাথায় এগিয়ে গিয়েছিল ইংল্যান্ড। এমন গোলে, যা সচরাচর ইউরো কাপ ফাইনালের মতো মঞ্চে দেখা যায় না। আক্রমণ শুরু হয়েছিল লিউক শ-কে দিয়ে। সেখান থেকে বল যায় ডান দিকে থাকা কিয়েরান ট্রিপিয়ারের কাছে। ট্রিপিয়ারের বক্সের মধ্যে ক্রস ভাসানোর সময় সম্পূর্ণ অরক্ষিত অবস্থায় ছিলেন শ। চলতি বলেই বাঁ পায়ের জোরালো শটে ডোনারুমাকে পরাস্ত করেন।

ম্যাচে ওই একবারই ইটালির ডিফেন্সের ফাঁক দেখা গেল। এরপর সে ভাবে ইংল্যান্ডে আক্রমণেই উঠতে দিল না তারা। বরং একের পর এক আক্রমণ তুলে আনছিল ইটালি। বলের নিয়ন্ত্রণও ছিল তাদেরই পায়ে। ডান দিক থেকে দুর্দান্ত আক্রমণ করছিলেন ফেদেরিকো কিয়েসা। প্রথমার্ধে ইংল্যান্ডের তিন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে তাঁর বাঁ পায়ের শট অল্পের জন্য বাইরে যায়।

দ্বিতীয়ার্ধেও বজায় ছিল তাদের আধিপত্য। আক্রমণের ঝাঁজ বাড়াতে চিরো ইমমোবিলেকে কিছুক্ষণ পরে তুলে নেন ইটালি কোচ রবের্তো মানচিনি। ডমেনিকো বেরার্দি এবং ব্রায়ান ক্রিস্তান্তেকে নামান। তার ফলও পায় ইটালি। ৬৭ মিনিটে সমতা ফেরান লিয়োনার্দো বোনুচ্চি। এরপর দু’দলই সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে পারেননি। নির্ধারিত ৯০ মিনিটের পর খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানেও গোল হয়নি।

পেনাল্টিতে ইংল্যান্ডের মার্কাস র‌্যাশফোর্ড, জ্যাডন স্যাঞ্চো এবং বুকায়ো সাকা মিস করেন। ইটালির হয়ে মিস করেন আন্দ্রেয়া বেলোত্তি এবং জর্জিনহো। কিন্তু গোলকিপার জিয়ানলুইগি ডোনারুমার জোড়া সেভে কাপ গেল ইটালিতে।