একটা টেস্ট বিশ্রাম পেয়ে ভারতের বিরুদ্ধে আবার ঝাঁপাতে তৈরি জফ্রা আর্চার। তফাতের মধ্যে এ বার তাঁর হাতে থাকবে গোলাপি বল। নিজের লক্ষ্যটাও পরিষ্কার করে দিচ্ছেন ইংল্যান্ডের এই ফাস্ট বোলার— তৃতীয় টেস্টে ভারতকে হারাও আর সিরিজের রাশ নিজেদের হাতে নাও।
চেন্নাইয়ের দ্বিতীয় টেস্টে ও রকম ভাবে বিধ্বস্ত হওয়ার পরে ইংল্যান্ডের পক্ষে কি সিরিজ জেতা সম্ভব? সোমবার ভার্চুয়াল সাংবাদিক বৈঠকে এই প্রশ্নের জবাবে আর্চারের হুঙ্কার, ‘‘অবশ্যই জেতা সম্ভব। আমরা সব সময় জেতার জন্যই খেলি।’’ যোগ করেন, ‘‘তৃতীয় টেস্টটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই টেস্টটা জিততে পারলে আামরা চালকের আসনে বসতে পারব। সিরিজটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারব।’’ প্রথম দু’টেস্টের পরে সিরিজ এখন ১-১ অবস্থায় রয়েছে। শেষ দুটো টেস্ট আমদাবাদে।
দ্বিতীয় টেস্টে কনুইয়ের চোটের জন্য খেলতে পারেননি আর্চার। এখন কী অবস্থা? মেজাজি ফাস্ট বোলারের জবাব, ‘‘এখন আমি খুব ভাল অবস্থায় আছি। কোনও সমস্যা নেই।’’ এর পরেই তিনি বলেন, ‘‘প্রয়োজন হলে আমি দ্বিতীয় টেস্টটাও খেলতে পারতাম। কিন্তু আমাকে এমনিতেই বিশ্রাম দেওয়া হত। তাই ইঞ্জেকশন নিয়ে, বিশ্রাম নিয়ে তৃতীয় টেস্টের জন্য তৈরি হয়েছি।’’ পাশাপাশি আর্চার এও মনে করিয়ে দিচ্ছেন, তিনি ক’টা টেস্ট খেললেন, সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। গুরুত্বপূর্ণ হল ইংল্যান্ডের সিরিজ জয়।
দিনরাতের টেস্টে গোলাপি বল থাকবে আপনার হাতে। গোলাপি বল নিয়ে আপনার কী ধারণা? আর্চারের জবাব, ‘‘বার দুয়েক গোলাপি বলে খেলেছি। সব গোলাপি বলগুলোই মোটামুটি এক। একটু বেশি সময় শক্ত থাকে।’’ কোন সময়টা গোলাপি বল বেশি সমস্যায় ফেলতে পারে ব্যাটসম্যানদের? ‘‘যখন মাঠে কৃত্রিম আলো জ্বলতে শুরু করে, তখন গোলাপি বল একটু বেশি নড়াচড়া করে,’’ বলছেন ইংল্যান্ডের পেস-অস্ত্র। কৃত্রিম আলোয় টেস্ট খেলা নিয়ে কী বলবেন? আর্চারের মন্তব্য, ‘‘ইংল্যান্ডে তো দেরিতে আলো কমে। কৃত্রিম আলোয় খেলার ব্যাপারটা অতটা ছাপ ফেলে না। তাই ব্যাপারটা আমার কাছে একটু নতুনই।’’
ঘণ্টায় দেড়শো কিলোমিটার গতিতে বল করার ক্ষমতা রাখা আর্চার জানেন, ভারতে তাঁর কী ভূমিকা। বলছিলেন, ‘‘ভারত সফরে এক জন পেসারের থেকে অধিনায়ক কখনও পাঁচ-ছ’টা করে উইকেট চায় বলে মনে হয় না। এখানে দু’টো-তিনটে করে উইকেট নিলেই চলে। কারণ উপমহাদেশের পিচে স্পিনাররা সব সময় বড় ভূমিকা নেয়।’’
কোভিড-১৯ অতিমারি এবং জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকার জন্য বিশ্রাম দিয়ে খেলাটা যে জরুরি হয়ে পড়ছে, তা মেনে নিয়েছেন আর্চার।