করোনাকালীন কঠিন সময়ে সতর্কতা অবলম্বন করে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ। স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তা নিশ্চিতে পাঁচ দলের ক্রিকেটার, কোচিং স্টাফদের হোটেল সোনারগাঁওয়ে জৈব সুরক্ষা বলয়ে রাখা হয়েছে। কিন্তু জৈব সুরক্ষা বলয়েও করোনা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। করোনা শঙ্কায় বেক্সিমকো ঢাকার পেসার মেহেদী হাসান রানাকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।
ঢাকার হয়ে দুটি ম্যাচ খেলা মেহেদীর শরীরে উপসর্গ দেখা দিয়েছে। গত দুদিন ধরে ঠান্ডা, জ্বর, শর্দিতে ভুগছেন তিনি। করোনা উপসর্গ দেখা দেওয়ায় হোটেল সোনারগাঁওতেই মেহেদীকে আলাদা করে রাখা হয়েছে। বেক্সিমকো ঢাকার একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
এ বিষয়ে বিসিবির চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী বলেছেন, ‘প্রাথমিকভাবে আমরা ধারণা করছি সাইনোসাইটিস। যেহেতু সে আইসোলেশনে আছে, আমাদের পক্ষ থেকে ব্লাড টেস্ট, কোভিড টেস্ট; সব করা হবে। এরপর তার আসল অবস্থা সম্পর্কে জানা যাবে।’
ইতোমধ্যে মেহেদী হাসান রানার বিকল্প খেলোয়াড়ের খোঁজ করতে শুরু করেছে ঢাকা। তার জায়গায় জুনায়েদ সিদ্দিকী বা অলোক কাপালির মতো কাউকে দলে নিতে চায় ঢাকা। সাধারণত পেসারের জায়গায় পেসারই নেওয়ার কথা, কিন্তু ব্যাটিং অর্ডারকে শক্তিশালী করতে জুনায়েদ বা অলোকের মতো কাউকে খুঁজছে মুশফিকুর রহিমের দল।
টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে ভুগছে ঢাকা। বিশেষ করে উদ্বোধনী জুটিতে কিছুই করতে পারছে না তারা। প্রথম ম্যাচের পর নাঈম হাসানকে ওপেনার হিসেবে নিয়মিত জায়গা দেওয়া হলেও অপর প্রান্তে শুধু বদলেই গেছে ঢাকা। তানজিদ হাসান তামিম, ইয়াসির আলী রাব্বি, রবিউল ইসলাম রবি, নাঈম হাসানের পর সাব্বির রহমানকে দিয়েও চেষ্টা করেছে তারা। কিন্তু সাফল্য মেলেনি। এ কারণে একজন পেসারকে হারানোর শঙ্কায় ব্যাটসম্যানের দিকে হাত বাড়াচ্ছে ঢাকা।
ঢাকার হয়ে দুটি ম্যাচে বিশেষ অবদান রাখা হয়নি মেহেদী হাসান রানার। দুই ম্যাচে একটি উইকেট নেন তিনি। অন্যদিকে বল হাতে ভালো করে আসছেন অভিজ্ঞ রুবেল হোসেন, মুক্তার আলীরা। স্পিনার হিসেবে নাঈম হাসান, নাসুম আহমদে, রবিউল ইসলাম রবিরাও অবদান রাখছেন। তাই বোলিং বিভাগ নিয়ে চিন্তা না করে ব্যাটিং বিভাগ শক্ত করার ভাবনায় আছে ৬ ম্যাচে ৩টিতে জেতা ঢাকা।