টানা তিন ম্যাচ হারের পর অবশেষে জয়ের দেখা পেল বেক্সিমকো ঢাকা। বুধবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে স্পিনিং অলরাউন্ডার রবিউল ইসলামের পারফরম্যান্সে হারের বৃত্ত ভেঙ্গেছে ঢাকা। বোলিং-ফিল্ডিংয়ে অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্স করেছেন রবিউল। বরিশালের দেওয়া ১০৯ রানের লক্ষ্য ৭ বল বাকি থাকতে ৩ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ঢাকা।
ঢাকার জন্য লক্ষ্যটা সহজই ছিল। তবুও ১০৯ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে পরিস্থিতি জটিল করে ফেলে ঢাকার টপ অর্ডার। ২৩ রানে দলের দুই ওপেনার রান আউটের শিকার হন। তাদের হারিয়ে বিপদে পড়তে যাচ্ছিল। সেই বিপদ থেকে অধিনায়ক মুশফিক দলকে রক্ষা করেন। তৃতীয় উইকেটে তানজিদের সঙ্গে ৩১ রানের জুটি গড়েন মুশফিক। তানজিদ ২২ রানে ফিরে গেলে চতুর্থ উইকেটে ইয়াসিরকে সঙ্গে নিয়ে ম্যাচ জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন ঢাকার অধিনায়ক । মুশফিক কিছুটা স্লো খেললেও ইয়াসির শুরু থেকেই ছিলেন আক্রমণাত্মক। ৩০ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ইয়াসির নিজের ৪৪ রানের ইনিংসটি সাজিয়েছেন। মুশফিক ৩৪ বলে ১ চারে অপরাজিত ২৩ রানের ইনিংস খেলেন। বরিশালের বোলারদের মধ্যে একটি উইকেট নিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
এর আগে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ পায় ফরচুন বরিশাল। স্পিনিং অলরাউন্ডার রবিউল ইসলাম রবির ঘূর্ণিজাদুতে ভেঙ্গে পড়ে বরিশালের ব্যাটিং লাইনআপ। অধিনায়ক তামিম ইকবাল ও যুব বিশ্বকাপজয়ী দলের ব্যাটসম্যান তৌহিদ হৃদয় ছাড়া আরও কেউই ভালো করতে পারেননি। ৩৩ বলে দুই চার ও ১ ছক্কায় ৩৩ রান করেন তৌহিদ। দলের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান আসে তামিমের ব্যাট থেকে। ৩১ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় তামিম ৩১ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন। এই ইনিংস খেলার পথে তামিম প্রথম বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান হিসেবে ৬ হাজার রান পূর্ণ করেন।বরিশালের ব্যাটসম্যানের কঠিন সময় উপহার দেন রবিউল ইসলাম। ৪ ওভারে ২০ রান খরচায় তার শিকার ৪ উইকেট। টপ অর্ডারের চার ব্যাটসম্যান তামিম, সাইফ, পারভেজ, আফিফ তার শিকারে পরিণত হন। রবিউল ছাড়াও শফিকুল ইসলাম দুটি এবং রুবেল হোসেন ও নাসুম আহমেদ একটি করে উইকেট নিয়েছেন।