অনেক অপেক্ষার পর অবশেষে শুরু হচ্ছে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ। গত মার্চে স্থগিত হওয়া লিগটি এবার ফরম্যাট বদলে হচ্ছে কুড়ি ওভারের। ফরম্যাট বদলালেও গত মৌসুমের দলটিই এই মৌসুমে মাঠে নামবছেন। নিষেধাজ্ঞার কারনে গত মৌসুমে কোন ক্লাবেই যোগ দেননি সাকিব। যার কারনে মোহামেডান এই অলরাউন্ডারকে নেওয়ার সুযোগ পেয়েছে। সোমবার প্রথম রাউন্ডে ১২টি ক্লাবই মাঠে নামছে।
লিগ শুরুর আগে রবিবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে সংবাদ সম্মেলন হয়েছে। গত আসরের মতো এবারো ঘরোয়া ক্রিকেটের জমজমাট এই আসরটির স্পন্সর ওয়ালটন। গত আসরে উন্মুক্ত পদ্ধতিতে দল-বদল হয়েছে। ফলে ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিকের ব্যাপারে দায়বদ্ধতা ক্লাবগুলোরই। করোনার প্রভাবের পাশাপাশি ফরম্যাটে বদলের ফলে ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিকে নিশ্চিত ভাবেই কিছুটা পরিবর্তন আসবে! এ প্রসঙ্গে ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিস ( সিসিডিএম) চেয়ারম্যান কাজী ইনাম আহমেদ বলেছেন, ‘এবারের মৌসুমেটি প্লেয়ার্স বাই চয়েজ না। ক্লাব ক্রিকেটারদের সঙ্গে সরাসরি যোগযোগ করে দলে নিয়েছে। এর আগে দুই বছর প্লেয়ার্স বাই চয়েজে টুর্নামেন্ট হয়েছে। যেখানে বিসিবি নিশ্চিত করতো ক্রিকেটাররা কে কোন ক্যাটাগরিতে থাকবে। সেখানে যদি ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক নিয়ে সমস্যা তৈরি হতো তাহলে বিসিবি তা মীমাংসা করতো। তবে এবার আমরা ক্লাবগুলোকে অনুরোধ করেছি যাদের পারিশ্রমিক ১০ লাখের নিচে, তাদের যেন কোন অর্থ কাটা না হয়। আর যাদের ১০ লাখের ওপরে তাদের কিছুটা পারিশ্রমিক কমালেও সেটি যেন ২০ ভাগের বেশি না হয়।’ঢাকা লিগে সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যতটা সম্ভব নিখুঁত জৈব সুরক্ষা বলয় গড়ে তোলার চেষ্টা হয়েছে।
কাজী ইনাম বলেছেন, ‘১২ দলে খেলোয়াড় আছে ১৭ জন করে। এই টুর্নামেন্টে আমাদের সবচেয়ে বেশি খেলোয়াড় যুক্ত। এখান থেকে ওরা যে টাকাটা পায়, সেটাই ওদের মূল আয়। ওদের দিকে তাকিয়েই এই টুর্নামেন্ট করছি। জৈব সুরক্ষা বলয় নিয়ে সবচেয়ে বেশি চিন্তা ছিল। সবার জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমাদের অনেক কাজ করতে হচ্ছে।”তিনি আরও যোগ করেছেন, ‘দলগুলোর জন্য শীর্ষ পর্যায়ের চারটি হোটেল রাখা হয়েছে।…অতীতের সব আয়োজন থেকে পাওয়া শিক্ষায় বিসিবি আমাদের অনেক সহায়তা দিতে পেরেছে, কি করে আমরা সবচেয়ে ভালো পরিবেশটা তৈরি করতে পারি। প্রতিটি দল আলাদা বাস ব্যবহার করছে। বাসের চালক পর্যন্ত আলাদা রাখার ব্যবস্থা আছে। আম্পায়ারসহ ম্যাচ সংশ্লিষ্ট সবাইকে সুরক্ষা বলয়ে রাখা হচ্ছে। জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকার জন্য যারা এসেছে তারা সবাইকে দুটি করে পরীক্ষার মধ্য দিয়ে আসতে হয়েছে।’কিছুদিন পর পরই জৈব সুরক্ষা বলয়ে ঢুকতে হচ্ছে বাংলাদেশের জাতীয় দলকে। শ্রীলঙ্কা সিরিজ শেষ হওয়ার পর ঢাকা লিগে জৈব সুরক্ষা বলয়ে ঢুকতে হচ্ছে সাকিব-মুশফিকদের। ঢাকা লিগ শেষ হওয়ার পর ক্রিকেটাররা আবার চলে যাবেন জিম্বাবুয়েতে। টানা এই অবস্থা থেকে মুক্তি দিতে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে সিসিডিএমের চেয়ারম্যান জানালেন, ‘জাতীয় ক্রিকেটাররা একটানা বায়ো বাবলের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। তাই তাদের জন্য একটা সুবিধা রেখেছি, তারা সিঙ্গেল রুম পাচ্ছে এবং চাইলে স্ত্রীদের নিয়ে হোটেলে উঠতে পারবে।’