মাঠে দর্শক থাকাটা আবেগের ব্যাপার হলেও বর্তমান পরিস্থিতিতে এই আবগেকে প্রশ্রয় দেওয়ার সুযোগ নেই বলে মনে করেন বিসিবির এই পরিচালক। বাংলাদেশ-নেপাল ম্যাচে মাঠে দর্শক প্রবেশের অনুমতি দেওয়া ঠিক হয়েছে কিনা, এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
করোনাভাইরাসের থাবায় থমকে গিয়েছিল সবকিছু। দীর্ঘদিন বিরান বাড়ি হয়ে পড়ে ছিল বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম। প্রায় ১০ মাস পরে ভেঙেছে নিরবতা। নেপালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলে ফিরেছে বাংলাদেশ। ফেরার পর্বে দর্শকরাও মাঠে বসে খেলা দেখেছেন। বাফুফে ৮ হাজার টিকেট ছাড়ার কথা জানালেও বাংলাদেশ-নেপালের মধ্যকার প্রথম ম্যাচে অন্তত ১৫ হাজার দর্শক ছিল মাঠে।
দীর্ঘদিন পর বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে সেই চিরচেনা দৃশ্য। জামাল ভূঁইয়ারা বল নিয়ে ছুটছিলেন আর গ্যালারি ফেটে পড়ছিল বাংলাদেশ-বাংলাদেশ চিৎকারে। ফুটবল ফেরার পর্বে থাকলো দর্শকও। ক্রিকেট ফিরলেও দর্শকদের জন্য দরজা খোলেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এমনকি আগামী ২৪ নভেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপেও মাঠে দর্শক প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না।
দর্শকশূন্য মাঠেই অনুষ্ঠিত হবে ৫ দলের অংশগ্রহণের এই টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস। তার মতে, মাঠে দর্শক থাকাটা আবেগের ব্যাপার হলেও বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় এই আবগেকে প্রশ্রয় দেওয়ার সুযোগ নেই। বাংলাদেশ-নেপাল ম্যাচে মাঠে দর্শক প্রবেশের অনুমতি দেওয়া ঠিক হয়েছে কিনা, এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
বাফুফের দর্শক ফেরানোর উদাহরণ টেনে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে মাঠে দর্শক প্রবেশের অনুমতির ব্যাপারে জানতে চাইলে জালাল ইউনুস বলেন, 'আপনাদের কী মনে হয়? এটা কি কোভিড পরিস্থিতিতে ভালো হলো? জানি এটা আবেগের ব্যাপার। অনেকদিন পর ফুটবল খেলা শুরু হয়েছে, সেখানে দর্শক এসেছে। কিন্তু আমরা দর্শক ও বাকি সবার কথা চিন্তা করে দর্শক অ্যালাউ করব না। এটাই আমাদের পরিকল্পনা, দর্শকশূন্য মাঠ থাকবে।'
পরিস্থিতির কারণে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানও থাকছে না। বিসিবির এই পরিচালক বলেন, 'আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদের কোনো উদ্বোধনী অনুষ্ঠান নেই, কারণ বর্তমান করোনা পরিস্থিতি। ২৪ নভেম্বর থেকে আমাদের টুর্নামেন্ট শুরু হচ্ছে, প্রথম খেলা শুরু হবে বেক্সিমকো ঢাকা ও মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহীর ম্যাচ দিয়ে। ১৮ ডিসেম্বর ফাইনাল, ১৯ ডিসেম্বর রিজার্ভ ডে রাখা হয়েছে।'
অনুশীলন করার ক্ষেত্রে ক্রিকেটারদের জন্য নির্দেশনা থাকবে বিসিবির। তবে কেউ নিজ দায়িত্বে অনুশীলন করতে চাইলে করতে পারবে। জালাল ইউনুস বলেন, 'কেউ যদি ঝুঁকি নিতে চায়, তাহলে করতে পারে। আমরা চাই যারা স্পন্সরদের অধীনে চলে এসেছে, সেসব খেলোয়াড় তাদের আয়োজনের মধ্যেই অনুশীলন করুক। কারণ দুই-একজন ইতোমধ্যে করোনা পজিটিভ হয়েছেন। টুর্নামেন্টের সময় যেন কেউ আক্রান্ত না হয়, সে জন্য তারা যেন বায়ো-বাবলে প্রবেশের পরই অনুশীলন করে।'