করোনাকালের লম্বা বিরতিতে সবাই কম বেশি ক্রিকেট খেললেও মাশরাফি ছিলেন না কোথাও। অবশেষে অপেক্ষার প্রহর শেষ হচ্ছে। সময়ের হিসেবে ৮ মাস ২২ দিন পর ২২ গজে বাংলাদেশের সফলতম অধিনায়ককে মাঠে দেখা যাবে। মঙ্গলবার জেমকন খুলনার জার্সিতে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিরতি ভাঙ্গছেন তিনি।
সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি সর্বশেষ প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলেছিলেন গত মার্চে। ১৬ মার্চ, শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের হয়ে বিকেএসপিতে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে একমাত্র ম্যাচটি খেলেছিলেন তিনি। এতদিন যেটি ছিল মাশরাফির প্রতিযোগিতামূলক শেষ ম্যাচ। কুড়ি ওভারের ম্যাচ হিসেব করলে মাশরাফির শেষ ম্যাচ বঙ্গবন্ধু বিপিএলে। চলতি বছর জানুয়ারিতে ঢাকা প্লাটুনের হয়ে বিপিএল খেলেছিলেন। ওই টুর্নামেন্টে ১৩ ম্যাচে নিয়েছেন ৮ উইকেট।
মাশরাফির বিরতি এতোটা লম্বা হতো না। কিন্তু গত অক্টোবরে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্টস কাপেও খেলার সম্ভাবনা ছিল মাশরাফির। কিন্তু ১৮ অক্টোবর মিরপুরের সিটি ক্লাব মাঠে রানিংয়ের সময় হ্যামস্ট্রিং ইনজুরিতে পড়ায় সেই সম্ভাবনার ইতি ঘটে। পরে আবার চোট কাটিয়ে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে ফেরার সম্ভাবনা দেখা দিলেও ইনজুরির কারণে শুরুতে প্লেয়ার্স ড্রাফটে ছিল না তার নাম।
ইনজুরি থেকে মুক্ত হওয়ার পর মাশরাফিকে নিয়ে আগ্রহ দেখায় চারদল। লটারিতে অংশ নিয়েছিল চার দল- ফরচুন বরিশাল, বেক্সিমকো ঢাকা, জেমকন খুলনা ও মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী। একাধিক দল আগ্রহ প্রকাশ করায় লটারির মাধ্যমে নিষ্পত্তি হয়েছে মাশরাফির দল প্রাপ্তি। লটারি ভাগ্যে জিতে মাশরাফিকে পেয়েছে জেমকন খুলনা। এমনিতেই মাহমুদউল্লাহ-সাকিবকে নিয়ে দারুণ দল গড়েছে খুলনা। লটারিতে মাশরাফিকে পেয়ে যেন সব আলো জেমকন খুলনার দিকেই পড়েছে।